ছবিঃ সংগৃহীত।
টাইগারদের সংগ্রহটা এদিন আরও বড় হতে পারত। আবার দলীয় ১৮৪ রানে যখন ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে তখন টাইগারদের ইনিংস ২০০ রানের আশেপাশে থেমে যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা জেগেছিল। তবে নাসুমের ২৫ রানের ক্যামিও এবং অভিষিক্ত জাকেরের অপরাজিত ৩৭ রানে আফগানদের আড়াইশো পেরোনো টার্গেট দিতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
আজ (৯ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার কাপ্তান নাজমুল হোসেন শান্ত।
এদিন শুরুটা দারুণ করেছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ১৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় পৌঁছে গেছিলেন ব্যক্তিগত ২২ রানে।
তবে আবারও ঘাতক হিসেবে আবির্ভাব গাজানফারের। প্রথম ম্যাচেও তামিমকে ফিরিয়েছিলেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। বিশাল এক ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই একই শট খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তামিম। নবির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলে একটি সম্ভাবনাময় ইনিংসের পরিসমাপ্তি ঘটে।
দলীয় ২৮ রানে
ওপেনার তামিম আশা জাগানিয়া এক ইনিংস খেলে
বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন টাইগার কাপ্তান। এদিনও সৌম্যের সঙ্গে দলের হাল ধরে গড়েন ৭১ রানের জুটি।
রশিদ খানের বলে এক দুর্ভাগ্যজনক এলবিডব্লিউর
শিকার হন সৌম্য। রিভিউ
নিলে আরামসে পার পেয়ে যেতে পারতেন।
সৌম্যের পতনের পর মিরাজকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন ক্যাপ্টেন। এদিন শুরু থেকেই ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে রান তুলছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পথে চারটি চারের সাথে হাঁকিয়েছেন বিশাল একটি ছক্কা।
ভালই খেলছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক শান্ত কে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন সহ-অধিনায়ক মিরাজ।
তবে
রশিদ খানের গুগলিতে পুরোপুরি বোকা বনে যেতে হয় মিরাজকে। ক্লিন
বোল্ড হয়ে ফিরে যাবার আগে ৬৬.৬৬ স্ট্রাইক
রেটে ৩৩ বলে করেছেন
২২ রান।
স্কোরবোর্ডে
রান যখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪, বাংলাদেশ তখন বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু তৃতীয়
পাওয়ারপ্লের আগেই ১০ রানের ব্যবধানে আফগান স্পিনার খারোতের বলে একে একে ফিরে যান তৌহিদ
হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারালে ভক্তদের মনে শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের ইনিংস হয়তো এদিন ২০০ রানের আশে পাশে থেমে যাবে। দলের ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়ান অভিষিক্ত জাকের আলি।
নাসুমকে নিয়ে শুরু হয় জাকেরের লড়াই। ১ চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করে নাসুম বিদায় নিলেও থামেননি
জাকের। ৩টি বিশাল ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ওয়ানডে অভিষেকটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে জাকিরের।
আফগান পেসারদের
বোলিংয়ে ধার ছিল না এদিন। স্পিনাররাই টাইগারদের ৭টি উইকেট নিয়েছেন। এরমধ্যে খারোতে
নিয়েছেন ৩টি। আর প্রথম ম্যাচের ঘাতক গাজানফার এবং রশিদ খান পেয়েছেন দু'টি করে উইকেট।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh