প্রতিপক্ষ
যখন বাংলাদেশ, তখন নতুন কিছু রেকর্ড করে ফেলাই যায়! এই চিন্তা মাথায় রেখেই হয়তো খেলতে
নামেন প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা। আজ (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে
চলছে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয়
দিনের খেলা। এদিনও নতুন রেকর্ড করতে ভোলেননি প্রোটিয়ারা।
ওপেনিংয়ে
নেমে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন টনি ডি জর্জি। ব্যক্তিগত
৯৭ রানে তাইজুলের বলে চোখধাঁধানো এক বাউন্ডারি মেরে শতক পূরণ করেন। যদিও দু'বার টাইগার
ফিল্ডারদের সৌজন্যে আউট হতে হতেও বেঁচে যান। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর কোনো ভুল করেননি
তিনি। পরিণত ব্যাটিংয়ে ৮টি চারের সাথে হাঁকিয়েছেন ২টি বিশাল ছক্কা।
জর্জির সেঞ্চুরির
পর ট্রিস্টান স্টাবসও বোধহয় পণ করেছিলেন আজ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা হাঁকাতেই
হবে।
ধৈর্য্যশীলতার
পরিচয় দিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেও ৫টি চারের সঙ্গে বিশাল তিনটি ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবস।
এদিকে মিরপুর
টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক হাঁকানো প্রোটিয়া বোলার উইয়ান মুল্ডার হয়তো ভাবছিলেন
সেঞ্চুরি কেন নয়? সপ্তম উইকেটে মাথুসামিকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন মুল্ডার।
ব্যক্তিগত
রান যখন ৯৮, তখন তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আরেকটু হলেই রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। ফিল্ডারের
ডিরেক্ট থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে গেলে সবাই ভাবছিলেন নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়েছেন
মুল্ডার। তবে মরণপণ এক ডাইভে রান আউট থেকে বেঁচে যান এই টেল-এন্ডার। বড় স্ক্রিণে সবুজ
হরফে নট আউট লেখা ভেসে উঠলে গ্যালারিতে বাংলাদেশীরাও খুশিতে ফেটে পড়েন।
৯৯ রানে দাঁড়িয়ে
তাইজুলের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা স্মরণীয় করে রাখলেন মুল্ডার।
সেঞ্চুরির
পরপরই ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করাম ইনিংস ঘোষণা করেন। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫। এটা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মাথুসামিকে নিয়ে অপরাজিত ১৫২ রানের
জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন সেঞ্চুরিয়ান মুল্ডার।