ছবিঃ সংগৃহীত।
বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ছিল আজ। আজ (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সফরকারী অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। পাকিস্তান সিরিজের পর আর জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। এমনকি প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্সেরও করুণ অবস্থা। এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে একাদশে তিন পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ।
তবে এদিন
বাংলাদেশের বোলারদের
ওপর চড়াও হয়ে খেলছিলেন এইডেন মার্করাম এবং
ডি জর্জি। শুরুতে একটা সহজ ক্যাচ মিস করে অভিষিক্ত মাহিদুল। এ ছাড়া বোলাররা
তেমন কোনো পাত্তাই পায়নি প্রোটিয়া দুই ওপেনারদের কাছে। এমন সময় দলের ত্রাণকর্তা হয়ে এইডেন মার্করামকে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় রান যখন ৬৯, তখন বোলিংয়ে তাইজুল। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম উঠিয়ে মারার চেষ্টা করলে মমিনুল সহজ ক্যাচ লুফে নেন। এরই সাথে উদ্ভোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট তাইজুল ইসলাম।
এরপর
আর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি টাইগার বোলাররা। ১ উইকেট হারিয়ে
১০৯ রান তুলে লাঞ্চে যান প্রোটিয়ারা।
লাঞ্চ থেকে ফিরে বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন জর্জি। ব্যক্তিগত ৯৭ রানে তাইজুলের বলে চোখধাঁধানো এক বাউন্ডারি মেরে শতক পূরণ করেন। যদিও দু'বার টাইগার ফিল্ডারদের সৌজন্যে আউট হতে হতেও বেঁচে যান। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর কোনো ভুল করেননি তিনি। পরিণত ব্যাটিংয়ে ৮টি চারের সাথে হাঁকিয়েছেন ২টি বিশাল ছক্কা।
জর্জির সেঞ্চুরির পর ট্রিস্টান স্টাবসও বোধহয় পণ করেছিলেন আজ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা হাঁকাতেই হবে।
দলীয়
৬৯ রানে অধিনায়ক মার্করামের বিদায় ঘটলে টনি ডি জর্জির সঙ্গে
জুটি বেঁধে দলকে
বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন স্টাবস। এক প্রান্তে জর্জি
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলে, স্টাবসও সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে তাড়াহুড়ো করেননি তিনি।
ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেও ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন বিশাল তিনটি ছক্কা। এরমধ্যে স্ট্রেইট ড্রাইভে একটি ছয় মেরে বল স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি।
তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি স্টাবস। তাইজুলের মারাত্মক এক আর্ম বলে বোল্ড হয়ে ১০৬ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এদিন টাইগার
বোলারদের বোলিংয়ে অভিনব কিছু ছিল না। শুরুর দিকে হাসান মাহমুদ স্যুইং পাচ্ছিলেন। ম্যাচের
একদম শুরুর দিকেই চমৎকার এক আউটস্যুইংয়ে জর্জিকে প্রায় পরাস্ত করে ফেলেছিলেন। কিন্তু
বাংলাদেশের ১০৬তম টেস্ট ক্যাপ মাথায় ওঠা মাহিদুল, জর্জির ব্যাটের কানায় লাগা বলকে তালুবন্দি
করতে পারেননি। জ্বরের কারণে লিটন একাদশের বাইরে থাকায় অভিষেক ঘটে উইকেটকিপার ব্যাটার
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। অভিষেকের চাপ ও উত্তেজনার কারণেই হয়ত উইকেটের পেছনে নার্ভাস
ছিলেন তিনি।
এদিন টাইগারদের
ফিল্ডিংয়ে দৈন্যতা সবার চোখে পড়েছে। প্লেয়ারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে এদিন গা ছাড়া ভাব
বেশ দৃষ্টিকটু লেগেছে। মাহিদুল ছাড়াও এদিন স্লিপে অলস ভঙ্গিতে একটা ক্যাচের সুযোগ মিস
করেন সাদমান। ফিল্ডারদের এই অবস্থার কারণেই হয়ত এদিন যেন মনোবল হারিয়ে ফেলেছিলেন টাইগার
বোলাররা।
আলোকস্বল্পতায়
নির্ধারিত সময়ের ৯ ওভার আগেই প্রথম দিনের খেলা
শেষ হয়। ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০৭ রান তোলে প্রোটিয়ারা। দিনশেষে ১৪১ রানে অপরাজিত
থাকেন টনি ডি জর্জি, আর ২ ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেডিংহাম।
টাইগারদের হয়ে এদিন তাইজুল ২ উইকেট নেন।
বাকিরা বেকার খেঁটে গেলেও সুফল পাননি।
দ্বিতীয় দিনে
প্রোটিয়া ব্যাটারদের দ্রুত বিদায় করতে আজকে রাতে হয়ত নতুন প্ল্যান নিয়ে বসবে টাইগার
বাহিনী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh