× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিপিএলের প্রতি আসরে যত সেঞ্চুরি

ডেস্ক রিপোর্ট

১৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১১ পিএম । আপডেটঃ ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সাল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ১০টি আসরে এ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হয়েছে ৩২টি। বিপিএলের প্রথম আসরে ৪টি সেঞ্চুরি হয়েছে। ২০১২, ২০২২ এবং ২০২৩ এই তিন আসরেই দর্শকদের একহালি করে সেঞ্চুরি উপহার দেন ব্যাটাররা। ২০১৯ সালের বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিল ক্রিকেট ভক্তরা। চলুন এবার বিপিএলের কোন আসরে কতটি সেঞ্চুরি হল দেখে আসা যাক।

 

২০১২: বিপিএলের প্রথম আসরের চার সেঞ্চুরির তিনটিই এসেছে বরিশাল বার্নার্সের ব্যাটারদের কাছ থেকে। বিপিএল ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে মাত্র ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১০ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিও আসে তার হাত ধরে। এবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসদের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬ চার ও ১১ ছক্কায় করেন ৬১ বলে করেন ১১৬ রান।


প্রথম আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করেন আরেক ক্যারিবিয়ান ব্যাটারে ডোয়েইন স্মিথ। খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে ৭৩ বল খেলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬টি করে চার ও ছক্কাইয় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

এ আসরের চতুর্থ এবং শেষ সেঞ্চুরিটি করেন পাকিস্তানি ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। বরিশাল বার্নার্সের হয়ে মাত্র ৪৯ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটিতই ছিল ২০১২ বিপিএলের চারটি সেঞ্চুরির মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটধারী ইনিংস।

২০১৩: বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের একসময়ের তারকা ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস। খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে ৬৯ বল খেলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।


বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম পোস্টারবয় মোহাম্মদ আশরাফুল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে ৫৮ বল খেলে ১০৩ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এইটিই বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি নিয়ে আবারও আবির্ভাব ঘটে ক্যারিবিয় দানব ক্রিস গেইলের। এবারে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সে জার্সি গায়ে চড়িয়ে ৫১ বলে ১১৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গেইল। এই ইনিংসে ৫টি চারের সাথে ছিল একডজন ছক্কার মার।

২০১৫: এই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার এভিন লুইস। বরিশাল বুলসের হয়ে ৬৫ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৬টি ছক্কার মার।

২০১৬: রাজশাহী কিংসের হয়ে সাব্বির রহমান ২০১৬ বিপিএল এর একমাত্র সেঞ্চুরি করেন। ৯টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ বলে ১২২ রানের একটি চমৎকার ইনিংস দর্শকদের উপহার দেন সেবার সাব্বির রহমান।

২০১৭: বিপিএলের পঞ্চম আসরে দর্শকরা তিনটি সেঞ্চুরি উপভোগ করেন। আর এই তিনটি সেঞ্চুরির সবকটিই আসে রংপুর রাইডার্সের ব্যাটারদের হাত ধরে। মজার বিষয় হল, তিনটি সেঞ্চুরিই করেন ক্যারিবিয় ব্যাটাররা।

৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ক্রিস গেইল। এবার তার ইনিংসে ছিল ১৪টি ছক্কা। একের তার প্রতিটি সেঞ্চুরিতে যেন ছক্কার সংখ্যায় নিজের সঙ্গে নিজেই পাল্লা দিয়েছেন তিনি। এই সেঞ্চুরিটিই বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটে করা সেঞ্চুরি।

পঞ্চম আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন জনসন চার্লস। ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায় ৬৩টি বল খেলে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটার।

২০১৭ বিপিএলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন ক্রিস গেইল। তার তুলনা শুধু তিনি নিজেই। ৬৯ বলে অপরাজিত ১৪৬ রান করার পথে ৫টি চারের সাথে মারেন ১৮টি ছক্কা! সেবারের আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরিটিই এখন পর্যন্ত বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।


২০১৯: বিপিএলের ষষ্ঠ এই আসরটিতেই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির দেখা পায় দর্শকরা। সেবারের আসরে সর্বমোট ৬টি সেঞ্চুরি হয়।

সেবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন ইংলিশ ব্যাটার লরি এভান্স। রাজশাহী কিংসের হয়ে ৯ চার ও ৬ ছক্কায়  ৬২ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন তিনি।

ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ৪৮ বলে ১০০ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১১টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুসো রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেন ৫১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। সেবারের আসরের  তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করার সময় তিনি ৮টি চার ও ৬ টি ছক্কা মারেন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবিয় ব্যাটার এভিন লুইসের হাত ধরে আসে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ৪৯ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৫টি চারের মারে, সাথে ছিল ১০টি ছক্কা!

এবার এবি ডি ভিলিয়ার্স ম্যাজিক দেখলো বিপিএলের দর্শকরা। সেবার তিনি রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৫০ বলে ১০০ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ভিলিয়ার্সের এই জাদুকরী ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৬টি ছক্কা!

বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের অতিমানবীয় এক ইনিংস দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল মিরপুরের দর্শকদের। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি করেন তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। ৬১ বল খেলে ১৪১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন খান সাহেব। তার ইনিংসে ছিল ১০ টি চার এবং ১১টি ছক্কা।

২০১৯-২০২০: বিপিএলের সপ্তম আসরটি তুলনামূলক আগেই অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের শেষদিকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের শুরুতে বিপিএল ৭ এর পর্দা নামে। এই আসরে সেঞ্চুরির সংখ্যা তিনটি। কাকতালীয়ভাবে তিনটিই ইনিংসেই ব্যাটাররা অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।


প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন সিলেট থান্ডার্সের ক্যারিবিয় ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার। অপরাজিত ১০৩ রানের মারকুটে ইনিংসটি খেলতে তিনি মাত্র ৫৭ বল মোকাবেলা করেন। ফ্লেচারের এই শতরানের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা।

বিপিএল ৭ এর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ ব্যাটার দাভিড় মালান। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ১০০ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেতে মাত্র ৫৪ বল খরচ করেন তিনি। ৯টি চার এবং ৫টি ছক্কায় শতরানের ইনিংসটি খেলেন মালান।

বিপিএল ৭ এর তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৭ বল খরচায় ১১৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।


২০২২:  বিপিএলের অষ্টম আসরে দর্শকরা একহালি সেঞ্চুরির দেখা পান।

প্রথমটি আসে ক্যারিবিয় ব্যাটার লেন্ডল সিমন্সের ব্যাটে। ৬৫ বল খেলে ১১৫ রানের একটি চমৎকার ইনিংস উপহার দেন তিনি। ১৪টি চার ও ৫ ছয়ে এই ইনিংসটি খেলেন সিমন্স।

আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি আসে খান সাহেবের ব্যাট থেকে। ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলতে তামিম খরচ করেছিলেন ৬৪টি বল। মাত্র ৪টি ছয় থাকলেও তার ইনিংসে ছিল দৃষ্টিনন্দন ১৭টি চারের মার।

দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটার ফ্যাফ ডু প্লেসি করেন বিপিএল-৮ এর তৃতীয় সেঞ্চুরি। মাত্র ৫৪ বল খেলে তিনি করেছিলেন ১০১ রান। ৩ ছক্কার সাথে তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার।

ছয় চার এবং ছয় ছক্কায় ক্যারিবিয় ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার  বিপিএল ক্যারিয়ারে তৃতীয় এবং বিপিএল-৮ এর চতুর্থ সেঞ্চুরীটি করেন। ৬২ বল খেলে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

২০২৩: বিপিএল-৯ এর প্রথম সেঞ্চুরি করেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি উইকেটকিপার-ব্যাটার মঈন খান পুত্র আজম খান। ৫৮ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস্টি তিনি সাজিয়েছেন ৯টি চার এবং ৮টি ছক্কায়।

নবম আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিও করেন আরেক পাকি ব্যাটার উসমান খান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৫৮ বল খেলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন উসমান।

তৃতীয় সেঞ্চুরিটিও আসে পাকি ব্যাটারের হাত ধরে। ৬ চার ও ৯ ছক্কায় মাত্র ৪৫ বল খেলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ। স্ট্রাইক রেট ছিল ২২২.২২!

সেবারের আসরের সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি আসে ক্যারিবিয় ব্যাটার জনসন চার্লসের ব্যাটে। ৫৬ বল মোকাবেলায় ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইনিংসটি ছিল ৫টি চার এবং ১১টি বিশাল ছক্কা দিয়ে সাজানো।

২০২৪: বিপিএল এর সর্বশেষ আসর রাঙিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে তার ব্যাটেই।  ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের নতুন এই বিগ হিটার।

ইংলিশ অল-রাউন্ডার উইল জ্যাকস করেন এ আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তৌহিদ হৃদয়ের এই সতীর্থ ৫টি চার ও ১০টি বিশাল ছক্কায় ৫৩ বল খরচায় সতীর্থের সমান সংখ্যক ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

জাতীয় দলের সম্ভাবনাময় নতুন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ওরফে 'ছোট তামিম' চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দর্শকদের দারুণ একটি সেঞ্চুরি উপহার দেন। ৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৮টি করে চার ও ছক্কায়।

বিপিএলের ২০২৫ আসর দড়জায় কড়া নাড়ছে। দেখা যাক এবার দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে কয়টি সেঞ্চুরি!

 

 

    

 

 

 

 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.