রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় এক নারী ফুটবলারের পরিবারকে অপমান-অপদস্ত মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই খেলোয়ার কে মারধর করা হয়েছে। অনুর্ধ্ব-১৪ জাতীয় দলের নারী ফুটবলার সদস্য মোছা সাগরিকার নানী বদরগঞ্জ থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে।
অভিযুক্তরা হলেন, রাজ্জাক (৩০), হাসানুর আলী (২৫), আফজাল হোসেন (৩৫), মাইনুল ইসলাম (২০), বাহাদুর (২৭), আলতা বেগম (৩০), মঞ্জুয়ার বেগম (২৫), লিমা খাতুন (২২) ও রুপালি খাতুন (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায়, তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরত চলে আসছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে নাতনি নারী ফুটবলার সাগরিকা কে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। গালমন্দ করতে নিষেধ করলে আব্দুর রাজ্জাক নানী তাজিয়া খাতুনের চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ফোলা জখম করে। ওই সময় তার ডাক চিৎকারে নাতনি নারী ফুটবলার মোছা সাগরিকা এগিয়ে আসলে হাসানুর আলী ও আফজাল হোসেনের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ছেলা ফোলা জখম করে। ঘটনাস্থলে মাইনুল ইসলাম নাতনি নারী ফুটবলার সাগরিকা কে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। ওই সময় বাহাদুর নামের নাতনির পরনের জামা কাপড় ধরে টানায় হ্যাচরা করে শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনাস্থলে দুজনের চিৎকারে তাজিয়া খাতুনের ছেলে তাজিবুল ও তার স্বামী আবুল কাশেম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। স্থানীয় ও প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়।
অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় নারী ফুটবলার মোছা সাগরিকা বলেন, আমি ফুটবল খেলি তাই তারা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে।খারাপ ভাষা করে গালাগালি করে। আজ সকালে আমাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় আমার নানী প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদের জেরে আমার নানিকে ধরে মারধর করতেছে। আমি নানীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তারা আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট সহ জামা কাপড় ধরে টানা হেচড়া ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। আমি তাদের বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি অনুর্ধ ১৪ জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলেছি। বর্তমানে রংপুর জেলা ফুটবল টিমের অনূর্ধ্ব ১৬ দলের খেলোয়াড় হিসেবে খেলছি। আমি গাইবান্ধা পলাশবাড়ী ফুটবল একাডেমিতে আছি।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু হাসান কবির বলেন, নারী ফুটবল খেলোয়াড় ও তার পরিবারকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।