সরকার পরিবর্তনের ফলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চলছে ব্যাপক পরিবর্তন। যার হাওয়া লেগেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। কিন্তু বাফুফেতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এর বিপক্ষে কথা বলেছেন সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তার মতে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে তাহলে ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বাফুফে।
গত ৫ অক্টোবর দেশব্যাপী আপামর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তাতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে সব জায়গায়। যার ঢেউ লাগতে পারে ক্রীড়াঙ্গনেও।
তবে বাফুফেতে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। ফিফার অনিয়ম অনুযায়ী, ফেডারেশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকলে তাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এমনটা হয়েছে অনেকে দেশেই। তাই সবাইকে এ ব্যাপারটিকে গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান তুষারের।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, "অনেকেই বলছেন, এখানে (বাফুফে) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে তবেই শুধু সাসপেন্ড হবে। আসলে কিন্তু তা না। রাজনৈতিক ব্যাপারটা একটা জায়গা। অন্য আরেকটা জায়গা হচ্ছে, বাফুফেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কেউ বলছে না। ফিফা সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, খোঁজ-খবর নেয়।"
তিনি আরও "সবাই ফুটবলকে ভালোবাসে। তাই আমি বলবো, বাফুফের ওপর কোনোরকম হস্তক্ষেপ যেন না আসে, বাফুফেকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়। আগামী ২৬ অক্টোবর আমাদের নির্বাচন। সেখানে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সব সুযোগ সামনে রয়েছে। তো কারো কোনো দাবি থাকলে তারা আসুক, নির্বাচন করুক, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।"
বাফুফে সামনে বেশ কয়েকটা টুর্নামেন্টের আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এই সময়ে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে সেটার কারো জন্যই ভালো হবে না বলে মনে করছেন তুষার। এমনকি খেলোয়াড়েরাও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
তুষার বলেন, "সামনে আমাদের ৫টা টুর্নামেন্ট আছে। আমাদের সাফের খেলা আছে। নারী দলের খেলা আছে। আমাদের সামনে দল বদলের কার্যক্রম চালু আছে। আমরা চেষ্টা করছি, কিছুটা সময় বাড়ানো যায় কিনা, এ ব্যাপারে আমরা ফিফার কাছে আবেদন করেছি। যদি কোনো কারণে এই মৌসুমে সাসপেন্ড হয় তাহলে খেলোয়াড়রা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তারা একটা মৌসুম খেলতে পারবে না। তো আমি চাই, দেশের ফুটবল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।"