বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে এসেই রান উৎসব করল আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে উইল জ্যাকস-মঈন আলীর শতরানের জুটিতে প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়েছে কুমিল্লা। আর তাদের এই রান পাহাড়ে রীতিমতো চাপা পড়ে পরাজয় বরণ করল ঘরের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে উইল জ্যাকসের ১০৮ ছাড়াও অধিনায়ক লিটন ৬০ ও মঈন আলী করেন ৫৩ রান। যা বিপিএলের ইতিহাসে যৌথ দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। বড় এই টাগের্টে ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার পক্ষে শেষ তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মঈন আলী।
২৪০ রানের রেকর্ড তাড়ায় অবশ্য দারুণ সূচনা পায় চট্টগ্রাম। ৭.৩ ওভারে ৮০ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। মাত্র ২৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রানে বিদায় নেন তানজিদ তামিম। আরেক ওপেনার জস ব্রাউন আউট হন ২৩ বলে ৩৬ রানে। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ঘুর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে বন্দর নগরীর দলটি। ব্রাউনকে ফেরানোর পরের ওভারে টম ব্রুস ও শাহাদাত দিপুকেও তুলে নেন ভিক্টোরিয়ান্স স্পিনার।
এরপর সৈকত আলি ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস উপহার দিলেও আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। ১৭তম ওভারে মঈন একে একে ফেরান শহিদুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খানকে। যা দিয়ে এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিতও দেখল ভক্তরা।
এর আগে সাগরিকায় টস হেরে ব্যাটিং নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৫ ওভারে ৮৬ রান তোলে লিটন-জ্যাকস। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬২ রান করে তারা। ২৫ বলে ফিফটি পাওয়া লিটন দাস ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ফেরেন ৬০ রানে। দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয় ও ব্রুক গেস্ট।
চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৫৩ বলে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন উইল জ্যাকস ও মঈন আলী। চট্টগ্রামের বোলারদের তুলোধুনা করে ৫০ বলে চলতি আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তলে নেন ইংলিশ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৩ বলে ৫টি চার ও ১০টি ছক্কায় ১০৮ রান করেন জ্যাকস। এ ছাড়া ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৪ বলে ৫৩ রানের ক্যামিও খেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।