অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপালকে পেয়েছে। বুধবার রোহনাত দৌল্লাহ বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিং তোপে তাদের ১৬৯ রানে থামিয়েছে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যটা মোটেও কঠিন নয়। এখন দেখার অপেক্ষা কতটা বড় ব্যবধানে জিততে পারে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।
ব্লুমফন্টেইনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। শুরুতেই ২৯ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। যদিও চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম মিলে দারুন প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তাদের ৬২ রানের জুটিতেই মূলত নেপাল মাঝারি মানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। ৬০ বলে ৩৫ রান করে অধিনায়ক দেব আউট হতেই ফের ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। বিশাল বিক্রম এক প্রান্ত আগলে লড়াই করলেও সঙ্গীর অভাবে সেটি যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১০০ বলে ৬ চারে ৪৮ রানে আউট হন তিনি। এছাড়া নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা সুবাস ভান্ডারির অপরাজিত ১৮ রান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নেপালের স্কোর দেড়শো ছাড়াতে। বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হবে ১৭০ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রোহনাত দৌল্লাহ বর্ষণ ১৯ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া অফস্পিনার পারভেজ নিয়েছেন ৩৪ রান খরচায় তিনটি উইকেট। ইকবাল হোসেন, মারুফ মৃধা ও জিসান আলম প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এমনিতেই গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে নিজেদের পরবর্তী রাউন্ড বেশ কঠিন করে তুলেছে বাংলাদেশর যুবারা। মূলত সুপার সিক্সের অদ্ভুত নিয়মে ফেঁসে যেতে পারে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের মিশন! তবে নেপালের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে পারলে হয়তো কোন সমীকরণই প্রতিবন্ধক হবে না। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালের জন্য শীর্ষস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বের পয়েন্টও ভূমিকা রাখবে। একই গ্রুপ থেকে উঠে আসা দলের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট ও নেট রানরেট সুপার সিক্সে মোট পয়েন্টের সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডকে হারানোয় ২ পয়েন্ট, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত পাচ্ছে ৪ পয়েন্ট। পাকিস্তানেরও আছে ৪ পয়েন্ট। হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে সুপার সিক্সেই নকআউট পদ্ধতিতে খেলতে হবে। অর্থাৎ নেপাল ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জিততে হবে বড় ব্যবধানে।