দুই বারের গ্র্যান্ড-স্ল্যামজয়ী টেনিস তারকা সিমোনা হালেপ এবার অ্যান্টি ডোপিং টেস্টে অভিযুক্ত হয়েছেন। ডোপিং আইনের দুটি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিমোনা মেয়েদের টেনিস র্যাংকিংয়ে সাবেক ১ নম্বর খেলোয়াড়। গতকাল (মঙ্গলবার) ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টেগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী রোমানিয়ান তারকা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ডোপিং–বিরোধী নীতিমালা ভেঙেছেন। খেলাধুলায় নিষিদ্ধ উপাদান রোক্সাডাস্টট্যাট নেওয়ায় গত বছর ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছিলেন হালেপ। গত মে মাসে তিনি অন্য একটি ডোপিং নীতিমালা ভাঙার দায়েও অভিযুক্ত হন, যে কারণে তার ‘বায়োলজিক্যাল অ্যাথলেট পাসপোর্টে’ অনিয়ম ধরা পড়েছিল।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল হালেপকে। বিষয়টি নিয়ে স্বাধীন বিচারিক কমিশন জানিয়েছে, এবার তাকে পূর্ণ মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা ৭ অক্টোবর ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ৬ অক্টোবর ২০২৬ সালে শেষ হবে। তবে হালেপ এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
গত জুনে স্বাধীন বিচারিক কমিশনে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন হালেপ। ১১ সেপ্টেম্বরে এই কমিশন জানায়, হালেপ ইচ্ছাকৃতভাবে টেনিসের ডোপিং–বিরোধী নীতিমালায় ২ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। গত বছরের ২৯ আগস্টে ইউএস ওপেনে হালেপের মূত্র–নমুনায় রোক্সাডাস্টট্যাট ধরা পড়েছিল।
ডোপিং টেস্টে অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন টেনিসের সাবেক নম্বর ওয়ান। তার দাবি, তিনি কোনো নিষিদ্ধ ওষুধ খাননি। অসুস্থতার জন্য তাকে রক্ত স্বল্পতার ওষুধ খেতে হয়েছিল। তিনি যে ওষুধ খেয়েছেন, তা নিষিদ্ধ নয়। হালেপ যে ওষুধ খাওয়ার দাবি করেছেন, তা খেলে শরীরে কিছু পরিমাণ রোক্সাডাস্টট্যাট থাকতে পারে। কিন্তু তার শরীরে যে পরিমাণ রোক্সাডাস্টট্যাট পাওয়া গেছে, তা তার দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে আইটিআইএ।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন সিমোনা হালেপ, ‘আমি আইটিআইএ-র এই সিদ্ধান্ত মানছি না। এখনও নিজের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। নিজের নামে লাগা কলঙ্ক দূর করতে যতটুকু সম্ভব আমি করে যাব। আমার বিরুদ্ধে আনা এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। আমি সব মিথ্যা প্রমাণ করব। কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে এর বিরুদ্ধে আবেদন জানাব।’