আঙুলের
চোটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারছেন না সাকিব। তবে
আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে সিরিজে তাকে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ফিটনেস অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি
দলের অধিনায়ক।
গত
মাসে ইংল্যান্ড সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যাচ নেওয়ার সময় ডান হাতের তর্জনীতে ব্যথা পেয়ে ৬ সপ্তাহের জন্য
ছিটকে যান সাকিব। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। ওই কারণেই মিস
করছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট।
অনাকাঙ্ক্ষিত
এই ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তখন যুক্তরাষ্ট্র চলে যান বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। সোমবার দেশে ফেরেন তিনি। পরদিন আসেন মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। সেদিন
অবশ্য বিসিবি কার্যালয়ে কিছুক্ষণ থাকার পর ইনডোরের বাইরে
প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে যান তিনি।
এক
দিন বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার ফের মাঠে এসেছেন সাকিব। জিম সেশনের পর বিসিবির ফিজিওর
সঙ্গে প্রায় ২০-২৫ মিনিট
দৌড়ান তিনি।
টেস্ট
দলের নতুন সদস্য মুশফিক হাসানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন তিনি। পরে মিরপুরের পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করতে দেখা যায় তাকে। অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেন টেস্ট দলের নিয়মিত অধিনায়ক।
সাকিবের
আঙুলের সবশেষ অবস্থা বোঝার জন্য পুনরায় এক্স-রে করা হয়েছে।
রিপোর্ট দেখে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি।
“(সাকিবের)
এক্স-রে রিপোর্ট দেখা
হয়েছে। খুবই সন্তোষজনক। খুব বড় সমস্যা ছিল
না। শিগগিরই মাঠে ফিরতে পারবে। আমরা আশাবাদী, (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারবে সাকিব।”
মিরপুরে
আগামী বুধবার শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এটি খেলে চলে যাবে আফগানরা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে
খেলতে পুনরায় ১ জুলাই আসবে
তারা। চট্টগ্রামে ৫ তারিখ মাঠে
গড়াবে প্রথম ওয়ানডে।
ওই
সিরিজে খেলার লক্ষ্যে শিগগিরই সাকিবের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
“দেশের
বাইরে থাকায় তো সাকিবের অনেকদিন
ফিটনেস অনুশীলন করা হয়নি। এজন্য আগে ফিটনেস ঠিক করতে হবে। এর সঙ্গে ১-২ দিনের মধ্যে
ফিজিওর তত্ত্বাবধানে আঙুলের চোটের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।”