ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে
৫৭ ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস
খেলে লিটন সেই যে রানের স্রোত
বইয়ে দেওয়া শুরু করলেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতেও তা
দেখেছে বাংলাদেশ।
শুধু
রান করাই নয়, লিটন কতটা দ্রুতলয়ে রান তুলছেন, সে পরিসংখ্যান জানিয়েছে
ক্রিকইনফো। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অন্তত
৭০০ বল খেলেছেন এমন
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়ারপ্লেতে লিটনের স্ট্রাইক রেট সর্বোচ্চ।
আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে কাল সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে
৩ ছক্কা ও ১০ চারে
৪১ বলে ৮৩ রানের ইনিংস
খেলেন লিটন। বাংলাদেশের জয়ের পথে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দেশের
হয়ে দ্রুততম ফিফটির নতুন রেকর্ড গড়েন এই ওপেনার। তারপরই
পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করেছে ক্রিকইনফো।
আন্তর্জাতিক
টি–টোয়েন্টির পাওয়ারপ্লেতে ৬৪ ইনিংস ব্যাটিং
করেছেন লিটন। এ সময় তাঁর
স্ট্রাইক রেট ১৪২.৫৭—যা ব্যাটসম্যানদের
মধ্যে সর্বোচ্চ, হিসাবটি করা হয়েছে অন্তত ৭০০ বল খেলেছেন, এমন
ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই। লিটনের পরই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। পাওয়ারপ্লেতে
৭৮ ইনিংসে ১৪১.৫১ স্ট্রাইক রেটে
ব্যাট করেছেন লিটন। তৃতীয় আফগানিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ—৬৩ ইনিংসে ১৪০.৪৭ স্ট্রাইক রেটে
ব্যাট করেছেন।
পাওয়ারপ্লেতে
ছক্কাসংখ্যায় ডি কক এগিয়ে।
সেটি সম্ভবত পাওয়ারপ্লেতে বাকি দুজনের চেয়ে বেশি ইনিংস খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য। ৫৮ ছক্কা মেরেছেন
ডি কক। ৪০ ছক্কা শাহজাদের
ও ৩৮টি ছক্কা মেরেছেন লিটন।
আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ১৮
বলে ফিফটি তুলে মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন লিটন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অন্তত
৫০০ রান করেছেন, বাংলাদেশের এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটনের স্ট্রাইক রেটই সর্বোচ্চ— ১৩২.৪৫।
এই
সংস্করণে ছক্কা মারার হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে ছক্কার ‘ফিফটি’র দেখাও পেয়েছেন
লিটন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে লিটনের
ছক্কাসংখ্যা এখন ৫০। সর্বোচ্চ ৬৪ ছক্কা মাহমুদউল্লাহর।