দলের
বাইরে থাকা রনি ও আফিফ হোসেনকে
নিয়ে আলাদা করে নেট অনুশীলন করাচ্ছিলেন সিডন্স। আফিফ ব্যাটিং করছিলেন থ্রোয়ারের বলে। রনির দায়িত্ব নিলেন সিডন্স নিজেই। ডক স্টিক দিয়ে
প্রথম বলেই ছুড়লেন বাউন্সার। রনি একটু চমকে গেলেন। যা দেখে সিডন্স
মজাই পেলেন, ‘দেখলে তো, আমি সব সময় শুরু
করি বাউন্সার দিয়ে।’ সিডন্সের মুখের হাসিটা নিভে গেল রনির উত্তরে, ‘বাউন্সার না, স্লোয়ার বাউন্সার।’
রনির
নেট সেশনের শুরুটা হলো ব্যাটিং কোচের সঙ্গে মজা করে। এরপর যেটি রূপ নেয় দারুণ এক লড়াইয়ে। যে
লড়াইয়ে রনিই জিতেছেন বারবার। সিডন্স নতুন কুকাবুরা বলটা ফুল লেংথে ফেলে রনির পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। আর রনি করে
যাচ্ছিলেন একের পর এক স্ট্রেট
ড্রাইভ। মিড অন-মিড অফের
দিকে রনির শটগুলো যাচ্ছিল সিডন্সের মাথার আশপাশ দিয়ে।
চট্টগ্রামে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও ঠিক
সে রকমই একেকটা স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেছেন রনি। আইরিশ পেসার মার্ক এডেয়ারের ফুল লেংথের বলটা উড়িয়ে মেরেছেন লং অফ বাউন্ডারির
ওপারে। মাঠের ‘ভি’–তে খেলা সেই
শটটার মতো মনে ছাপ রেখে যাওয়া আরও অনেক শট খেলেছেন ৩৮
বলে ৬৭ রানের বিস্ফোরক
ইনিংসে। যেখানে ছিল টাচ ও পাওয়ারের দুর্দান্ত
মিশেল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রনির
প্রথম ফিফটিটি আরও স্মরণীয় হয়ে আছে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাওয়ায়।