বল পায়ে মেসি রিয়ালের ডি–বক্সে ছুটছেন। আর রামোস ছুটছেন
মেসিকে থামাতে। এই দৃশ্যগুলোই হয়তো এখনো ফুটবলপ্রেমীদের চোখে ভাসে! কারণ, মেসি বার্সেলোনায়
থাকার সময়টায় রামোস ছিলেন তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে।
১৬ বছর একে
অন্যের বিপক্ষে খেলেছেন। তবে সময় বদলেছে। দল বদল করে পিএসজিতে এখন মেসি-রামোস একে অন্যের
সতীর্থ। হয়তো বন্ধুত্বও হয়েছে। কারণ, মেসি সতীর্থ হওয়ার শুরুতেও তাঁর প্রশংসা করেছেন
রামোস। তবে সর্বকালের সেরার প্রশ্নে কিছুটা চুপই ছিলেন তখন। এরপর এক মৌসুম যেতে না
যেতেই এখন তাঁর চোখে মেসিই সর্বকালের সেরা!
মেসিকে সেরা মানার পেছনে আরও একটি কারণ থাকতে পারে রামোসের।
মেসি পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পরই বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ পেয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব নিয়ে
আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন। হতে পারে, মেসির এই অর্জনেই হয়তো রামোস নিজের
মত বদলেছেন।
বার্সা-রিয়ালে থাকার সময় মেসি-রামোস দ্বৈরথে কখনো জয়ী
হয়েছেন রামোস, কখনো মেসি। তবে জয়ের পাল্লাটা বোধ হয় মেসির দিকেই বেশি। কারণ, রিয়াল
মাদ্রিদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোল এই মেসিই করেছেন। এখন মেসির প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে
নামতে হয় না বলে স্বস্তিতে আছেন রামোস।
পিএসজি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার
বলেছেন, ‘বেশ কয়েক বছর মেসির বিপক্ষে খেলা আমার জন্য ভোগান্তির ছিল। আমি এখন তাঁর খেলা
উপভোগ করছি। মেসিই ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।’