শীর্ষ বাছাই হিসেবে এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে নামা নাদালের পথচলা থেমে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই। ম্যাকেঞ্জি ম্যাকডোনাল্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মাঝপথে চোট পান তিনি। পরে মেডিকেল টাইমআউট নিয়ে খেলা শেষ চালিয়ে গেলেও কোনোরকম লড়াই করতে পারেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এলেই যেন রাফায়েল নাদালের শরীর বিগড়ে বসে, দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে। একবার-দুবার নয়, এবার দিয়ে পঞ্চমবারের মতো বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলার সময় চোট পেলেন স্প্যানিশ তারকা।
পুরুষ এককে রেকর্ড ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদাল এর দুটি শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এখানে রেকর্ডটা হয়তো তার আরকটু সমৃদ্ধ হতে পারতো, কিন্তু পাঁচবারই যে ভাগ্য সহায় হয়নি। পেছন ফিরে দেখা যাক, মেলবোর্ন পার্কে নাদালের চোট পাওয়া ঘটনাগুলো-
২০২৩ - শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দ্বিতীয় রাউন্ডে আমেরিকান ম্যাকডোনাল্ডের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় সেটে তার বাম নিতম্বে স্ট্রেনের শিকার হন নাদাল। তা নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫ গেমে।
২০১৮ - মারিন সিলিচের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালের পঞ্চম সেট চলাকালীন নিতম্বের চোটের কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন নাদাল। ম্যাচে ওই সময়ে ৩-৬, ৬-৩, ৬-৭(৫), ৬-২, ২-০ গেমে তিনি পিছিয়ে ছিলেন। সেবার দুই মাসেরও বেশি সময় কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে।
২০১৪ - শিরোপার লড়াইয়ে নাদালের প্রতিপক্ষ ছিলেন স্তানিস্লাস ভাভরিঙ্কা। ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপের সময় পিঠে চোট পান নাদাল, যা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ গেমে হেরে যান। ওই চোটে তিন সপ্তাহের জন্য বাইরে ছিলেন নাদাল।
২০১১ - কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াইয়ে নাদালের প্রতিপক্ষ ছিলেন তার স্বদেশি দাভিদ ফেরার। ম্যাচের শুরুতেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান নাদাল। ফলে তেমন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি তিনি, হেরে যান ৬-৪, ৬-২, ৬-৩ গেমে। সেবারও তিনি চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন এক মাস পর।
২০১০ - অ্যান্ডি মারের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে ৬-৩, ৭-৬, ৩-০ গেমে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় হাঁটুতে চোট পেয়ে লড়াই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন নাদাল। ওই চোটে এক মাসের জন্য কোর্টের বাইরে ছিলেন তিনি।