তদন্ত করতে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাই প্রকৃত ঘটনা কী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছি আমরা।’
মঞ্চে উঠে হাতে ধরা পুরস্কার লাথি মেরে ছুড়ে ফেলেছিলেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান। বিচারকদের রায় মেনে নিতে না পেরে মঞ্চে অতিথিদের সামনেই ক্ষুব্ধ জাহিদ পুরস্কারটা ছুড়ে ফেলেন। জাহিদ হাসানের এমন কাজের বিষয়টা তদন্ত করে দেখছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
গত শুক্রবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মিলনায়তনে জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় জাহিদের পুরস্কারে লাথি দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশন জরুরি সভা করে জাহিদ হাসানকে আজীবন নিষিদ্ধ করে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি মনে করি এই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যটা উঠে আসবে। প্রতিযোগিতায় ১১ জন বিচারক ছিলেন। এর মধ্যে চারজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এবং বাকিরা জাতীয় পর্যায়ের বিচারক। তাঁদের বিচারের ভিত্তিতে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছে আল আমিন সজীবকে। দ্বিতীয় হয়েছেন জাহিদ হাসান। আমরা কোনো অন্যায় করিনি। এই তদন্তের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রমাণিত হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, সেটা প্রমাণের একটা সুযোগ হলো।’
জাতীয় শরীরগঠন প্রতিযোগিতায় ১৭০ কেজি–ঊর্ধ্ব মেনস ফিজিক বিভাগে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জাহিদ। কিন্তু গত শুক্রবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিটরিয়ামে শেষ হওয়া জাতীয় প্রতিযোগিতায় নির্বাচকেরা তাঁকে দ্বিতীয় ঘোষণা করায় রাগে–ক্ষোভে ফেডারেশনের দেওয়া পুরস্কার লাথি দিয়ে ফেলে দেন মঞ্চের ওপরই। যদিও জাহিদের অভিযোগ, তাঁকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় করা হয়েছে। ইভেন্টটি পাতানো ছিল বলে দাবি করেন জাহিদ।