লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রোববারের ফাইনালে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার গোলে ৩৫ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি ফ্রান্স। বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার দাপুটে ফুটবলের সামনে একরকম অসহায় হয়ে থাকা ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধে কী দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ায়। ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। তার আগে বিরতির সময়ে ড্রেসিং রুমেও দলকে অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
একপেশে লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়েই আর্জেন্টিনা জিতে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে ৮০ ও ৮১, পরপর দুই মিনিটে এমবাপের দুই গোলে সমতা টেনে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় ফরাসিরা।
এর আগে প্রথমার্ধের বিরতিতে দলকে তাতিয়ে দেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাঠে সতীর্থদের কিছু করে দেখানোর আহ্বান জানান এমবাপে।
“এটা একটা বিশ্বকাপ ফাইনাল, আজীবনের ম্যাচ। আমরা এর চেয়ে বাজে কিছু করতে পারি না। চলো মাঠে ফিরে যাই; হয় আমরা তাদের খেলতে দিই অথবা আমরা খেলি। আমরা লড়াইয়ের মনোভাব রাখি, আমরা কিছু করি, বন্ধুরা। যা হওয়ার হয়ে গেছে, তারা দুটি গোল করেছে, আমরা দুই গোল পিছিয়ে আছি। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। এই ধরনের সুযোগ প্রতি চার বছর পরপর আসে।”
অতিরিক্ত সময়ে মেসির দ্বিতীয় গোলে আবার এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন এমবাপে। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন তিনি। পরে টাইব্রেকারে শিরোপাধারীদের ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতে আর্জেন্টিনা।