কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে দারুণ পারফরম্যান্স করেন মার্তিনেজ। কাতার থেকে আর্জেন্টিনায় ফেরার পর কাল ছাদখোলা বাসে বুয়েনস এইরেসে মেসি-মার্তিনেজদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। পাগলাটে উদ্যাপনের জন্য সুখ্যাতি-কুখ্যাতি দুটিই আছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। প্রতিপক্ষকে খোঁচাতেও ওস্তাদ আর্জেন্টিনার এই গোলকিপার। বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের পরই ড্রেসিংরুমে মজা করেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনায় ফেরার পরও এমবাপ্পেকে ছাড়েননি মার্তিনেজ। সেখানেও ফ্রান্সের স্ট্রাইকারকে নিয়ে মজা করেছেন তিনি।
ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা (নির্ধারিত সময় দুই দল ৩-৩ গোলে ড্র করে) এমবাপ্পের জন্মদিনও ছিল কাল। তাঁকে নিয়ে মজা করতে ছাদখোলা বাসে একটি পুতুল হাতে নিয়ে দাঁড়ান মার্তিনেজ। সেই পুতুলের মুখটা ছিল এমবাপ্পের। অর্থাৎ পুতুলের মুখে এমবাপ্পের মুখের ছবি বসানো হয়।
বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লোভ’ জয়ী (সেরা গোলকিপার) মার্তিনেজ ফাইনাল জয়ের পর ড্রেসিংরুমেও এমবাপ্পেকে নিয়ে মজা করেন। ড্রেসিংরুম কাঁপিয়ে নাচে-গানে শিরোপা-জয় উদ্যাপন করছিলেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। সেই উদ্যাপন হঠাৎই থামিয়ে দেন মার্তিনেজ।
কিছুক্ষণের জন্য উদ্যাপন থামিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এরপর ফাইনালে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করা ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দেন এক খোঁচা। সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলে ওঠেন, ‘এক মিনিটের নীরবতা।’ এটুকু বলে মার্তিনেজ ক্ষণিকের জন্য থামেন। এরপর গানের সুরে বলেন, ‘এমবাপ্পের জন্য, যে মরে গেছে!’