এবারের আগে আর্জেন্টিনা সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ম্যারাডোনা জাদুতেই। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স তাকে শুধু আর্জেন্টিনায় নয়, গোটা বিশ্বে করে তুলেছিল রূপকথার মহানায়ক।
পরে ২০১০ বিশ্বকাপে তার কোচিংয়ে বিশ্বকাপে খেলেন মেসিরা। অন্য সব বিশ্ব আসর থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনার নানা ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি। বর্ণময় এই চরিত্র দলকে সমর্থন জোগাতে নিজেকে উজাড় করে দিতেন। আর্জেন্টিনার সমর্থনে তার কণ্ঠ কখনও নিচু হয়নি। কিন্তু দুই বছর আগে তিনি অন্য জগতে পাড়ি জমান ৬০ বছর বয়সে।
লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ে উচ্ছ্বাসের ঢেউ দোহা থেকে বুয়েন্স এইরেস হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ফুটবলবিশ্বে। তবে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এই উৎসবে নেই সম্ভবত তাদের সবচেয়ে বড় সমর্থকটিই। তিনি চলে গেছেন এই সবকিছুর উর্ধ্বে। দিয়োগে মারাদোনা বেঁচে থাকলে কত পাগলামো, কতটা খ্যাপাটে উদযাপনই না করতেন! আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির আনন্দ প্রহরেও খানিকটা বিরহের সুর হয়ে বাজছে মারাদোনার না থাকা।
মারাদোনার সেই দলের সাফল্যের পর তিন যুগের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আবার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। জয়ের পর নেপথ্য নায়ক স্কালোনির মনে পড়ছে দেশের ইতিহাসের মহানায়ককে।
“আমার এখনই কেবল মনে হচ্ছে যে মারাদোনা আর আমাদের সঙ্গে নেই। তবে যেখানেই থাকুন, আমাদের সাফল্যে তিনি গর্বিত ও খুশি হবেন নিশ্চিতভাবেই। “তিনি যদি এখানে থাকতেন, নিশ্চিতভাবেই মাঠে নেমে আমাদের সঙ্গে উদযাপনে মেতে উঠতেন। আশা করি, যেখানেই আছেন, আমাদের এই অর্জন তিনি উপভোগ করছেন।”
বেঁচে থাকলে যে মারাদোনা উদযাপন করতেন তুমুল উন্মাদনায়, কোনো সংশয়ই নেই স্কালোনির।