ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র আর বেলজিয়ামকে হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল মরক্কো। আগেই দুই ম্যাচ হেরে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া কানাডার বিপক্ষে তাই হার এড়াতে পারলেই চলতো তাদের। কিন্তু জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো মরক্কানরা। সেই সঙ্গে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলোয় উঠল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণে উঠছিল মরক্কো। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় কানাডার গোলকিপার মিলান বোরজার ভুলের সুযোগ নিয়ে মরক্কোকে এগিয়ে দেন চেলসি ফরোয়ার্ড হাকিম জিয়েখ।
৯ম মিনিটে মরক্কোর খেলোয়াড় ওউনাহিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জুনিয়র হয়েলেট। ফ্রি কিক পায় মরক্কো। তবে ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া সেই ফ্রি কিক থেকে বল ক্লিয়ার করে গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন কানাডার ডিফেন্ডার ভিটোরিয়া।
১৬ মিনিটের মাথায় সতীর্থর থ্রু বল থেকে আবারও বল পায়ে পেয়ে কানাডার গোলবার লক্ষ্য করে শট নেন হাকিম জিয়েখ। কিন্তু সেই শটে বল গোলপোস্টের বেশ দূর দিয়েই চলে যায়।
অবশ্য দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় আশরাফ হাকিমির ছোড়া থ্রো বল থেকে বল পায়ে পেয়ে দৌড়ে কানাডার অর্ধে ঢুকে যান মরক্কোর আরেক স্ট্রাইকার ইউসুফ এন নেসারি। সেখান থেকে চমৎকার এক শটে কানাডার গোলরক্ষক মিলান বোরজাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান এই সেভিয়া ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধ শেষের ঠিক কয়েক মিনিট আগে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন মরক্কান ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম আত্মঘাতী গোল এটি।
শেষ পর্যন্ত আর গোল পায়নি কোনও দলই। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো। এ জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউটে গেলো আফ্রিকার দেশটি।
আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জিততেই হবে- এমন সমীকরণে অনেক সুযোগ পেল বেলজিয়াম। কিন্তু দিনটা যেন তাদের ছিল না, ছিল না রোমেলু লুকাকুর।
বিরতির পর মাঠে নেমে অবিশ্বাস্যভাবে একের পর এক সুযোগ হারালেন দেশটির রেকর্ড গোলদাতা। একটি পয়েন্ট পেয়ে লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠল গত আসরের রানার্সআপরা।