বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের ৩য় আসরের বাস্কেটবল ফাইনাল খেলা ও পদক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ খেলা ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান হয়।
এবারের বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে । একই দিনে নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে এবারের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের বাস্কেটবল ইভেন্টের নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে তারা পরাজিত করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে।
আর পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে তারা পরাজিত করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে।
রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে ২২টি এবং নারী বিভাগে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তরুণদের এই উদ্যমকে দেখে স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং বলেছিলেন ‘বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ আনবে’। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণরা নিজেদেরকে বিকশিত করার সুযোগ পাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এসময় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, “তরুণ সমাজকে খেলাধুলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইত্যাদি কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কারণ তারাই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, পোলার আইসক্রিমের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেটের পরিচালনায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০১৯ সালে ১ম আসরে ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭০০ ক্রীড়াবিদ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।