করোনা সংক্রমণ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। এরই মধ্যে মাঠে গড়াচ্ছে এবারের উইম্বলডন। এ নিয়ে সাবেক টেনিস তারকা অ্যালাইজ কর্নে রীতিমতো এক বিস্ফোরক মন্তব্যই করে বসেছেন। করোনাক্রান্ত হওয়ার পরও খেলোয়াড়রা আক্রান্ত হওয়ার খবর লুকিয়ে খেলছে!
সাবেক এই খেলোয়াড়ের দাবি, খুব বেশি সমস্যা না হলে অনেকেই প্রকাশ করছেন না সংক্রমণের কথা। জ্বর হলে তা চেপে যাচ্ছেন। সেটা অবশ্য অন্য প্রতিযোগীরা জানছেন, কিন্তু প্রকাশ করছেন না কেউ।
ফরাসি ওপেনের উদাহরণ টেনে কর্নে জানালেন, ‘আমার তো মনে হয় ফ্রেঞ্চ ওপেনের সময় অনেকের গায়েই হালকা জ্বর ছিল। তবে খেলোয়াড়রা বিষয়টা নিজেদের মধ্যেই রেখেছিলম প্রকাশ করেনি। সমস্যা এড়াতেই অনেকে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। অনেকে অসুস্থ বোধ করলেও প্রকাশ করেনি।’
অন্য খেলোয়াড়রা যে জানতেন, সেটাও মনে করেন তিনি। বললেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে এ নিয়ে বোঝাপড়া আছে। অনেককে মাস্কও ব্যবহার করতে দেখেছি। তারা হয়তো সংক্রমণের ব্যাপারটা জানত। তাই সতর্কতার জন্যই তারা মাস্ক ব্যবহার করছিল।’
ফরাসি ওপেনে কোনো সমস্যা হয়নি। খেলা শেষ হয়ে গেছে নির্বিঘ্নেই। তবে এখন এসে কর্নের এই দাবি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রীতিমতো। উইম্বলডনে করোনা নীতিমালা বেশ শিথিল। এখানে খেলোয়াড়দের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। করোনা পরীক্ষা করানোও বাধ্যতামূলক নয়। কর্নের আশঙ্কা, ফরাসি ওপেনের মতো উইম্বলডনেও করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মাতেও বেরাত্তিনি আর মারিন চিলিচ উইম্বলডন থেকে সরে গেছেন করোনা সংক্রমণের কারণে। কর্নেট বলেছেন, ‘চিলিচ এবং বেরেত্তিনি নিজেরাই পরীক্ষা করে সরে দাঁড়িয়েছে প্রতিযোগিতা থেকে। এটা ভালো দিক।’
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালিস্ট কোকু গাফ। তার মতে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নির্দেশিকা থাকা উচিত। যদি উপসর্গ থাকে, পরীক্ষা করানো উচিত। আর সেটা নিয়মিতই হওয়া উচিত, হোক তা প্রতিদিন, কিংবা এক দিনের বিরতি দিয়ে। গাফ জানিয়েছেন, করোনা টিকাও নেওয়া উচিত খেলোয়াড়দের, তাহলে ভাইরাসের প্রকটতা কমে যায়। আর নিজে টিকা নিলে অন্যদেরও উৎসাহিত করা প্রয়োজন।