ডেসটিনি গ্রুপের প্রধান রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে গঠিত আমজনগণ পার্টি ২ কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান। একই সঙ্গে অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য ইসিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমজনতা ইসির নিবন্ধন না পাওয়ার প্রতিবাদে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনরত অবস্থায় গতকাল শনিবার তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে টাকা দিয়ে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে একে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন ডেসটিনি গ্রুপের প্রধান রফিকুল আমীন।
১০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশন চালিয়ে যাওয়া তারেক গতকাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ডেসটিনির দলকে (আমজনগণ পার্টি) ২ কোটি টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বৈঠক করে টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন নিশ্চিত করেন। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলব, এখনই ওই দলের নিবন্ধন বাতিল করুন।’
নিজের দল নিবন্ধন পায়নি বলে এমন অভিযোগ করছেন কি না, বা অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ আছে কি না, জানতে চাইলে তারেক বলেন, ‘নিবন্ধন নিয়ে ইসির তদন্ত কর্মকর্তারা মাঠে পর্যবেক্ষণে যাবেন। কিন্তু হোটেলে কীসের আলোচনা? ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দল নিয়ে যে কর্মকর্তারা হোটেলে বৈঠক করেছেন, সেখানে একজন কর্মকর্তা ভাগ কম পেয়েছেন। সে জন্যই ওই কর্মকর্তা আমাদের সব বলে দিয়েছেন। এখন আমি অভিযোগ তুলেছি। ইসির উচিত হবে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দল নিবন্ধন পায়নি বলে অভিযোগ করছি, তা নয়। রাস্তায় ১০টা গাড়ির মধ্যে যদি একটা গাড়ির চালক দুষ্টু বালক হন, আপনি ভালো গাড়ি চালাতে পারবেন? পারবেন না। রফিকুল আমীন হচ্ছেন রাজনীতিতে তেমন (দুষ্টু বালক)। এজন্য তার দলের নিবন্ধন বাতিল করা উচিত।’
তারেক বলেন, ‘তিনি (রফিকুল আমীন) কি জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন? ছিলেন তো জেলে। ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে জেলে গিয়েছিলেন। আমাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে দল করেছেন সম্পদ রক্ষা করতে।’
তবে তারেক রহমানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল আমীন কালবেলাকে বলেন, ‘তারেক একজন জুলাই যোদ্ধা। সে জন্য তার প্রতি সবসময় আমার সমবেদনা ও সহমর্মিতা আছে। আমি চাই তার দলও নিবন্ধন পাক। কিন্তু আমার দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তিনি স্ট্যান্ডবাজি করছেন, যার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। তাকে কোনো পক্ষ উসকানি দিয়ে আমার দল ও ডেসটিনির বিরুদ্ধে এসব কথা বলাচ্ছে। আশা করি, তিনি ভুল বুঝতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোটা সময় আমাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমার সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। আমার ২ লাখ টাকা খরচ করারও সামর্থ্য নেই। সে জন্য তারেকের অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবে না।’