ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা
শাহরিয়ার আলম সাম্যকে মাদক কারবারিরা হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো
হয়।
ডিএমপি
কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী লিখিত বক্তব্যে জানান, সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দুইজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যদিও তার বক্তব্যে হত্যার কারণ স্পষ্টভাবে উঠে আসেনি।
তবে
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিরা একটি টেজার গান নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময় শাহরিয়ার আলম সাম্য তাদের সেই অস্ত্র দেখে ফেলেন। এরপর তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে এবং একপর্যায়ে মাদক চক্রের সদস্যরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এদিকে,
সাম্যর বড় ভাই আমিরুল
ইসলাম সাগর পুলিশের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দি ও পুলিশের বিবৃতির
মধ্যে কোনো মিল নেই। তিনি প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দাবি করেন।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও সেই প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুলিশ
জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। সর্বশেষ আটককৃত আটজন হলেন রাব্বি, মেহেদী, পাপেল, রিপন, সোহগাগ, রবিন, হৃদয় ও সুজন সরকার।
এর আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত,
গত ১৩ মে রাতে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম
সাম্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান
হলের ছাত্র এবং ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক
ছিলেন।