মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির প্রথম দিন আজ (৬ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী বৃহস্পতিবার (৮ মে)।
আজহারুল ইসলামের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। শুনানিকালে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, যাদের মধ্যে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন এবং নুরুল ইসলাম বুলবুল।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ জনকে হত্যা ও গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন এবং লুটপাট-অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অপরাধ। ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। পরবর্তীতে আজহারুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করলে, সেটি গ্রহণ করে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম নজির।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের পক্ষে খালাস চেয়ে ১১৩টি যুক্তির ভিত্তিতে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল ও ২৩৪০ পৃষ্ঠার দলিল আদালতে জমা দেন তার আইনজীবীরা। জামায়াতে ইসলামী এই রায়কে “প্রহসনের বিচার” হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে।