জামায়াত
নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি একটি সংক্ষিপ্ত রায়ের ভিত্তিতে কার্যকর করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির। আজ (৬ মে) সকালে
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত
আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে শুনানিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিশির
মনির বলেন, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের
মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়, কারণ ৫ জানুয়ারি দেশে
নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের আগেই ফাঁসি কার্যকর করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু রিভিউ খারিজের কারণ উল্লেখ না করেই সংক্ষিপ্ত
রায়ের ভিত্তিতে এ ফাঁসি কার্যকর
করা হয়—যা উপমহাদেশে
নজিরবিহীন।
তিনি
আরও বলেন, রিভিউ খারিজের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা কার্যকর
করার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত রায়ে কারণ উল্লেখ না করে ফাঁসি
কার্যকর করা হয়েছে, যা কারাগার থেকে
কোনো আসামিকে মুক্ত করার সময় ব্যবহৃত হয়, দণ্ড কার্যকরের সময় নয়।
এই
মন্তব্যগুলো এসেছে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক জামায়াত নেতা এ টি এম
আজহারুল ইসলামের মামলার শুনানিতে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ
টি এম আজহারুল ইসলামকে
মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল করলে, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল
বিভাগ তার দণ্ড বহাল রাখে।
পরে
২০২০ সালের ১৯ জুলাই রায়ের
পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল
বিভাগ রিভিউ মঞ্জুর করে (লিভ গ্রান্ট) এবং ২২ এপ্রিল শুনানির
দিন ধার্য করে। একইসঙ্গে, এক সপ্তাহের মধ্যে
আবেদনকারীদের এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।