ছবিঃ সংগৃহীত।
সরকার সংস্কারের নামে দেশের অর্ধেক মানুষকে উপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনা অবাস্তব ও অকার্যকর, কারণ যারা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত তারা দেশের নির্বাচনী বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের আচরণ দেখে মনে হয়, যেন তারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন।
আজ
(২০ এপ্রিল) বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনে এসব কথা বলেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না, বরং বেকারত্ব আরও বাড়বে। দেশের কলকারখানা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। অথচ আলুর দাম কম দেখে অনেকেই
খুশি হচ্ছেন, তারা ভাবছেন না কৃষকের চোখের
পানির কথা।
তিনি
আরো বলেন, সরকার যে সংস্কার চালাচ্ছে,
তা আসলে একটি নির্বাচনী নাটক। যেভাবে তাদের নির্বাচনে জিতিয়ে আনা হবে, তা কি শেখ
হাসিনার আগের নির্বাচনের চেয়ে ভালো কিছু হবে? শেখ হাসিনাও শেষ পর্যন্ত সবকিছু ধরে রাখতে পারেননি, বর্তমান সরকারই বা কত দিন
পারবে? যারা নির্বাচন থেকে বাদ পড়বে, তারা কি চুপচাপ বসে
থাকবে?
সভায়
জিএম কাদের অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টিকে ঘিরে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন, তাদের লাঙ্গল প্রতীক দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা—যিনি
অতীতে তার বিপক্ষে কারচুপির চেষ্টা করে ধরা পড়েছিলেন—তিনিই এখন ষড়যন্ত্রকারীদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে কমিশন
ইতোমধ্যে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয়
পার্টির কাউন্সিল আয়োজনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জিএম কাদের। তার দাবি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন তাদের হল ভাড়া দিতে
রাজি হয়নি। এই প্রতিষ্ঠান এখন
সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এক দলের অঙ্গসংগঠনের
মতো আচরণ করছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেমন একসময় পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করেছিলেন, বর্তমান সরকারও সেই পথেই হাঁটছে।
বক্তব্যে
তিনি চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। বলেন, এখন দেশে ব্যবসা করতে হলেও চাঁদা দিতে হয়। এর চেয়ে বড়
অত্যাচার আর কিছু হতে
পারে না। সরকারি মদদপুষ্ট গোষ্ঠী পাঁচতারা হোটেলে বিলাসিতা করছে, আর বিরোধীদের ইফতারে
হামলা হচ্ছে।
জিএম
কাদের বলেন, দেশজুড়ে এক ধরনের নব্য
ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, যা গণতন্ত্র ও
জনস্বার্থের পরিপন্থী। এই ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ
করতে হবে। রক্ত দিয়ে হলেও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়াতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh