ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকাণ্ডকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব। আজ (২০ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ড যদি পূর্বপরিকল্পিত না হতো, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃক নিস্পত্তিকৃত তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতা ঘটার কোনো যুক্তি নেই। এটা ছিল সরাসরি পরিকল্পিত আক্রমণ।
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পেছনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জড়িত। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র মেহেরাজ ইসলাম, বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার, এবং যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী।
রাকিব আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে এই সংগঠনটির ব্যানারে একটি গোষ্ঠী রক্ষীবাহিনীর মতো আচরণ করছে। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েমের মাধ্যমে ছাত্রদলকে মব দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, যেন ছাত্রলীগের পুরনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি।
তিনি অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে পারভেজ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করা হয়েছে, তা ছিল অশোভন ও পক্ষপাতদুষ্ট। তার ভাষায়,
তারা চাইলে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করতে পারতেন। কিন্তু তারা বরং অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়, অপরাধ আড়াল করাই তাদের উদ্দেশ্য।
এছাড়া তিনি দাবি করেন, এই সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের ঠাঁই দিয়ে সংগঠনটিকে ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের এই সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট করেন ছাত্রদল সভাপতি।
রাকিবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনা নতুন নামে সেই পুরনো ফ্যাসিবাদেরই বহিঃপ্রকাশ। এটি শুধু ছাত্রদলের ওপর আক্রমণ নয়, এটি গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।