ফিলিস্তিনে
ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ (১০ এপ্রিল) রাজধানীতে
র্যালি ও সমাবেশ করেছে
বিএনপি। নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে র্যালিটি শুরু
হয়ে শান্তিনগর, মৌচাক ও মগবাজার হয়ে
বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
র্যালিপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, “সরকার ইসরায়েল থেকে আড়িপাঁতার যন্ত্র কিনেছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই চলছে।”
তিনি
আরও বলেন, “মুসলিম বিশ্বের নীরবতার কারণেই আজ বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা
নির্যাতিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে,
তাতে বিশ্বের কিছু পরাশক্তি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা
করছে। জাতিসংঘের কোনো সিদ্ধান্তই তারা মানে না।”
ইন্দো-মার্কিন সমর্থনকে দায়ী করে তিনি বলেন, “এই সমর্থনের কারণেই
ফিলিস্তিনিরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এ বিষয়ে আরও
জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।”
সমাবেশে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের পক্ষে মত দেন। তবে
তিনি স্পষ্ট করেন, “শুধু ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের নামে হামলা, লুটপাট বা জবরদস্তিমূলক আচরণ
অপরাধ। প্রতিবাদ হতে হবে সচেতনভাবে।”
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, “সারাবিশ্বের মুসলমানদের ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে একটি শক্তি। মুসলিম বিশ্ব যদি ঐক্যবদ্ধ হতো, তাহলে ইসরায়েল এ ধরনের বর্বরতা
চালাতে পারত না। জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই
নির্যাতন থামবে না।”
র্যালিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, মাথায় প্রতিবাদী ফিতা এবং নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ‘গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো’, ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে, বর্বরতার বিরুদ্ধে’—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এলাকা।
বিএনপির
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, র্যালিটি ছিল
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সংহতির প্রকাশ,
যা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে আয়োজিত।