বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয় কত এবং এর উৎস কোথা থেকে আসে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। তার এই মন্তব্যের পর, এবার ছাত্রদলের টাকার উৎস জানতে চেয়েছেন জবি শিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম। তিনি শিবিরের আয়ের উৎস সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন।
আজ (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, "আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়।"
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, "আমাদের আয়ের উৎসগুলো আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। অর্থ-ব্যবস্থা/বায়তুলমাল: ধারা-৩৬: সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।"
শিবির সেক্রেটারি বলেন, "আমাদের কর্মীরা তাদের জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে, আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়, আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়, আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সাবেক ভাইয়েরাও আমাদের টাকা দেয় এবং বিপদের দিনে আশ্রয় দেয়।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় বা ব্যয় নেই, সব কিছু সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের আয় নিয়ে প্রশ্ন করেন, তাদের অনুরোধ করব, বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলুন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?"
এটি ছিল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "শুনেছি ছাত্রশিবির প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করছে। আমাদের প্রশ্ন, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছে? তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে, এই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।"