বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ৫ আগস্টের পর
থেকে আমরা একটি নতুন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ’৭১ এবং ’২৪
সালের পরাজিত শক্তি গোপনে প্রেম করে আবারও বাংলাদেশের ভিতরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব শক্তি বাংলাদেশের পক্ষে নয়। কিছু শক্তি দিল্লি এবং কিছু শক্তি ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে। তারেক রহমানের কর্মীরা বাংলাদেশের দাস, এবং বাংলাদেশের বাইরে আমাদের কোনো ঠিকানা নেই।
গতকাল
(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরগুনা পৌরশহরের প্রেসক্লাব সংলগ্ন সদর রোড এলাকায় জেলা ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময়
আমানউল্লাহ আমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রিপরিষদ ও ৩৫০ জন
এমপির মধ্যে ৫৮ জন ছিলেন
শেখ পরিবারের আত্মীয়-স্বজন। ৫ আগস্টের আগে
তারা দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যদি সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগের নেত্রী হতেন, তাহলে তার একজন আত্মীয় অন্তত দেশের মধ্যে থাকতেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিপদে পড়লে হাসিনা তাদের সাহায্য করেননি, বরং নয়াদিল্লিতে গিয়ে উসকানি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের জন্য অযোগ্য দাবি করেন।
তিনি
বলেন, মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরুতে হাসিনা তার আত্মীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে বিদেশে পাঠান, এবং তারপর ৪ আগস্ট আওয়ামী
লীগ নেতাকর্মীদের সশস্ত্র হামলা করার নির্দেশ দেন। তিনি মন্তব্য করেন, শেখ হাসিনা ’৭৫ এর বিপ্লবের
পর সাধারণ মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে এসেছিলেন, এবং ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী।
আওয়ামী
লীগ এবং বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়, তাহলে তা জনগণের বিপক্ষের
শক্তি। ১৯৭১ সালে জামায়াত, ৯০ সালে এরশাদ,
এবং ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড়িয়েছে, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায়নি। তাই বিএনপি জনগণের পক্ষে এবং বাংলাদেশের দাসত্বের বিপক্ষে একটি দল।
এছাড়া
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগের
ছাত্র রাজনীতির রূপ পরিবর্তিত হয়েছে, এবং ছাত্রলীগের সাথে যাদের সম্পর্ক ছিল, তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই গুপ্ত সংগঠন
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে, এবং এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।