বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত যত দ্রুত সম্ভব
স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সদস্যদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুত হচ্ছেন, যার ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না এবং এর
প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে, এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ
(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘ঢাকা বার আইনজীবী ফোরাম “৩১-দফা” প্রশিক্ষণ’
শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। তার মতে, নির্বাচন হলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং সমস্যা সমাধানে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করবেন। সংসদকে কার্যকর করার জন্য যত বেশি সময়
নেয়া হবে, তত বেশি অস্থিরতা
ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি
আরও বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা
করেছে, যা তারা অতীতের
রাষ্ট্রপরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তাব করেছিল। তার মতে, ৩১ দফায় অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি,
কৃষি, শিক্ষা, প্রশাসনসহ সকল সেক্টরকে পুনর্গঠন করবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এ মুহূর্তে সঠিক
পলিসি বা সিদ্ধান্ত না
নেওয়া হয়, তবে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এসময় তিনি
আরও বলেন, যেসময় স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে কেউ সংস্কারের কথা তুলতে সাহস করেনি তখন
বিএনপি ও রাজপথে আন্দোলনের কিছু দল মিলিতভাবে আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম। আজকের অনেক ব্যক্তি
সেসময় সংস্কারের ‘স' এর ধারে কাছে ছিলেন না। কিন্তু বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সেদিন ৩১
দফা উপস্থাপন করেছিল।
দেশ
ও মানুষের অবস্থার উন্নতির জন্য ৩১ দফার বিকল্প
নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ৩১ দফা এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের ৬টি কমিশনের সুপারিশগুলো একত্রিত করলে পার্থক্য থাকলেও, মূল বিষয়গুলোর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেন, ৩১ দফা প্রকৃতপক্ষে
অধিকাংশ মানুষের মতামতের প্রতিফলন।