ছবিঃ সংগৃহীত।
মহান
স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এর প্রবক্তা, শহিদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী
আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া
জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ‘দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন এবং যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার। দায়িত্ব পালন করেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর
ব্রিগেড কমান্ডার নিয়োগ করা হয় এবং ১৯৭২
সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত
হন। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার পদে, ওই বছরের শেষদিকে
মেজর জেনারেল এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ আগস্ট লেফটেন্যান্ট
জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের
রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১৯
দফা কর্মসূচি সামনে রেখে গঠন করেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। জিয়াউর
রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম
সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন। কোটি কোটি মানুষের কান্নায় সেদিন বাংলার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল, শোক প্রকাশ করেছিল বিশ্ববাসী। বাংলার জনগণ ভালোবেসে সেদিন থেকে তাকে শহিদ জিয়া নামেই অভিহিত করে থাকে। অনুসারীরা গর্ব করেই বলে থাকেন বাংলাদেশের অপর নাম শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাত্র ৪৫ বছরের কর্মময়
দুঃসাহসী জীবন। কমল বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স
হতো ৮৯। এত কম সময়ে
এত বেশি অর্জন এমন কর্মবীরের আগমন পৃথিবীতে কালে ভদ্রে ঘটে থাকে! চক্রান্তকারীদের হাতে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা বেজেই চলেছে। আজ বাংলার মানুষ
জীবনের মৌলিক প্রয়োজন খাদ্য বস্ত্র চিকিৎসা আর বাসস্থান নিয়ে
দুশ্চিন্তায় ভোগে, পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষায়, নেতৃত্বে, হারিয়েছে ভোটাধিকার আর সেই সাথে
ডুবে গেছে গণতন্ত্র। এমন সংকটকাল অতিক্রম করার জন্য শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মেধা, বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, সততা, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের কৌশল ও আদর্শ এই
বাংলার মানুষের জন্য বাতিঘর। লাইট হাউস বা বাতিঘর যেমন
করে নিরুদ্দেশ নাবিককে সঠিক পথের নির্দেশনা দেয় তেমনি জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ যুগে যুগে কালে কালে আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।
বিএনপি
মহাসচিবের বাণী
বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে শহীদ
জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে
শহীদ জিয়া ছিলেন জাতির দিশারী। ২৬ মার্চ তিনি
চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয়, ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর
রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।
কর্মসূচি
৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শেরেবাংলানগরের কবরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। দুপুর ২টায় রমনা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত এবং দোয়া ও মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিষয় : বিএনপি জিয়াউর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh