ভারতের ত্রিপুরার
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, নাশকতা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর
ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্বঘোষণা মোতাবেক আজ (১১ ডিসেম্বর) বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন আগরতলা
অভিমুখে লংমার্চ করবে। ইতোমধ্যেই দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে থেকে লংমার্চ
শুরু করেছেন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৯
ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা মোতাবেক আজ (১১ ডিসেম্বর)
সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
সামনে থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। জাতীয় পতাকা এবং বিএনপির দলীয় পতাকা নিয়ে নেতাকর্মীরা
লংমার্চের আগে নয়াপল্টনে জড়ো হন।
কেন্দ্রীয়
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসান বলেন, নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু
হয়েছে। বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
আমাদের এই লংমার্চ।
লংমার্চের
রুটের ব্যাপারে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে।
এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব,
ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরবে পথসভা করে আখাউড়া
স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা হবে।
লং-মার্চ
শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠন
তিনটি। সেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ রক্ষায় এই
লংমার্চ। তারা দেশরক্ষার জন্য আখাউড়ায় দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা
করে দেশ রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে।
ভৈরব ও আখাউড়া
স্থলবন্দরে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।