আজ (৪ ডিসেম্বর)
জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে
বৈঠক করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে
সাংবাদিকদের জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশবাসী আগামী দুই একদিনের
মধ্যে সুখবর পাবেন আশা করি। আমরা কারও পাতা ফাঁদে পা দিব না। কারও কাছে মাথা নত করবো
না, আবার সীমালঙ্ঘনও করবো না।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে গতকাল (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই পরিক্রমায় আগামীকাল (৫ ডিসেম্বর) ধর্মীয় সম্প্রদায়ের
নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস।
সরকারকে
সহযোগিতা করছেন দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা
করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সরকার যাতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো। অপপ্রচার মোকাবিলায় আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
জাতীয়
ঐক্যের ভিত্তিতে বিজয় এসেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, চলমান ষড়যন্ত্রও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাদের।
প্রধান
উপদেষ্টার এ বৈঠকে জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরোয়ার, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
ছাত্র-জনতার
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতনী
জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ক্রমশ দু'দেশের সম্পর্কে অবনতি
ঘটতে থাকে। এরই মধ্যে তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় চিন্ময়ের অনুসারীরা সাইফুল ইসলাম নামে
এক আইনজীবী পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে
ভারত ন্যাক্কারজনকভাবে তাদের মিডিয়াতে 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে'
এই অপপ্রচার চালাতে থাকে।
এসব অপপ্রচারের
জেরে গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের
সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই
দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে রুপ ধারণ করেছে। যা সামাল দিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক
দিতে এই বৈঠকগুলোর আয়োজন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।