বিএনপির সিনিয়র
যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তিবিমুখ কুসংস্কারাচ্ছন্ন-পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার
রাজনীতিবিদরা ভারত শাসন করছে। তিনি আরও বলেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের
বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজ (৩ নভেম্বর) নয়াপল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী
বলেন, দুঃখের বিষয় হলো কিছু ধর্মীয় উগ্রবাদী ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ভারতের চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে-উসকানিতে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
‘অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান- এই উগ্রবাদীদের নিয়ন্ত্রণ
করুন। ভারতের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু চরম উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটা মানুষ এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব-সম্মান আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে।’
বিএনপির
এই নেতা বলেন, কলকাতায় উপ-হাইকমিশন, আগরতলা
সহকারী হাইকমিশনে হামলা, মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হাঙ্গামা এবং ধারাবাহিক চরম উসকানিমূলক বক্তব্য ও সীমাহীন অপপ্রচারে
বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হিংস্র আগ্রাসী হস্তক্ষেপের ঘটনা ও ভারতের বাংলাদেশবিরোধী
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ছেলেরাও মিছিল নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।
আগরতলায়
কূটনৈতিক মিশনে এমন নজিরবিহীন হামলা ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশন,
১৯৬১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন
বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী আমাদের হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ
সরকারের উচিত হবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সহায়তা চাওয়া।
‘ক্ষমতা হারিয়ে
বিতাড়িত হওয়ায় হাসিনার চেয়ে বেশি পাগল হয়ে গেছে ভারতীয় বিজেপি সরকার ও উগ্রবাদীরা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীদের আরেক ছদ্মবেশী
শিখণ্ডি মমতা ব্যানার্জি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছে। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের
বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত কিন্তু শত্রুতা করতে চাইলে সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রিয়
জনগণ মেনেই নেবে না।’
রিজভী বলেন,
ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের
ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে
কথা বলার। মোদি-মমতাদের বলব- নিজেদের ঘর সামলান। শান্তিতে বসবাস করছি আমরা সব সম্প্রদায়ের
মানুষ।