আজ (২৯ নভেম্বর)
প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ফ্যাসিবাদ ও তার
দোসরদের মোকাবিলায় আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন,
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায়
আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
এদিন তিনি
ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে বিদ্যমান সব রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে ঐক্য
গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে,
তাদের একত্রিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা সম্ভব নয়।
দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন
দিয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না।
তিনি বলেন,
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বর্তমান
সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে জনগণের মতামত সঠিকভাবে
প্রতিফলিত হবে।
তিনি
আরও বলেন, ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন
থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী
আন্দোলন পর্যন্ত, দেশের মানুষ বহু রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরও আমরা একদলীয় শাসন, সামরিক স্বৈরশাসন এবং গণতন্ত্র হত্যার সাক্ষী হয়েছি। আজকের শাসকেরাও সেই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রকে অর্থহীন করেছে।
আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মোহাম্মাদ আজম খান।
আরো
উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজজী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।