বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেগ এমদাদুল হক বাচ্চু এর বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেগ এমদাদুল হকের সৎ বোন কাকলি আক্তার।
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ফেরত পেতে এ সময় চামেলী আক্তার, এ্যমিলি রহমান, মর্জিনা বেগম, পারভিন বেগম ও তাদের চাচাতো ভাই বেগ মোকাররাম হোসেন (ছুটে) উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাকলি আক্তার বলেন, ১৯৯৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সৎ ভাই এমদাদুল হক বাচ্চু সরকারি দলের প্রভাব বিস্তার করে আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি হতে তাড়িয়ে দেয়। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করিয়াও ব্যর্থ হই। আমরা আমাদের জমিতে গেলেই চেয়ারম্যান বাচ্চু বেগ হুমকি ধামকি, মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ।
৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সৎ ভাই বাচ্চু বেগ গা ঢাকা দেয়। কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসলে আমরা সকল বোনেরা সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করি। সে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়েই উল্টো আমাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে। সে পরিষ্কারভাবে আমাদের জানিয়ে দেয়, আমাকে দুর্বল মনে করবানা। আমার সাথে সেনাবাহিনী আছে, তারা আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গেছে। সে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সোমবার সম্মেলনে উপস্থিত চামিলি আক্তার নামে অন্য এক বোন বলেন, সৎ ভাই বেগ ইমদাদুল হক একজন দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান। দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে একজন পর সম্পদ লোভী। সে আমাদের ছয় বোন ও এক ভাইয়ের সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমাদের সকল সম্পত্তি ফেরত চাই।
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেগ ইমদাদুল হক বাচ্চুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।