গত ৫ আগস্ট
দেশব্যাপী আপামর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘটে। এরপর দেশে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছে
বিএনপি। এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র
প্রথম আলোকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে
কি না এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন।
ঢাকার গুলশানে
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সাক্ষাৎকার দেন। এ সময়
তিনি জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়ে কথা বলেন। এতে বিএনপির সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেন। গণঅভ্যুত্থান
পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও তিনি আলোচনা করেন।
এদিকে মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা চাইছি, নির্বাচনব্যবস্থা,
প্রশাসন ও বিচার বিভাগ, বিশেষ করে এই তিনটি ক্ষেত্রে দ্রুত সংস্কার করা হোক। এটা করেই
দ্রুত নির্বাচন আমরা চাইছি।"
এসময় তাকে
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন,
"আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচন করে, জনগণ সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি তো সিদ্ধান্ত
দেওয়ার মালিক না। আমি নির্বাচন করব, অন্য দলগুলো করবে, জনগণ যাদের বেছে নেবে, তাদের
সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।"
প্রসঙ্গত
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নেবে। কিন্তু যে ব্যক্তিগুলো
গণহত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা যেন নির্বাচনে অংশ না নেন,
সেটাই আমাদের বক্তব্য। কোনো দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তো আপত্তি করার কিছু
নেই।"
এ ব্যপারে তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই না, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। কারণ, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তবে আওয়ামী লীগের যাঁরা নানা অপরাধ করেছেন, যাঁরা গণহত্যা করেছেন, সেই ব্যক্তিরা রাজনীতি করতে পারবেন না, জনগণ সেটা চায়। তাঁদের অপরাধের বিচার করতে হবে। কিন্তু গণতন্ত্রে কোনো দলের রাজনীতি করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যায় না।"
এদিন সাক্ষাৎকারে
বিএনপি মহাসচিব সংবিধান সংশোধন, ৬টি সংস্কার কমিশন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড
ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।