বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আজ রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল না। তার উদ্দেশ্যে ছিল তিলক কুমারী মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে, দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট দেন। কারণ তিনি এই দেশের উন্নতি চাননি। এই বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।
তিনি বলেন, আর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে শেখ হাসিনা চূড়ান্ত প্রতিশোধটা নিয়ে গেছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশে কেউ যেন আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিতে না পারে। কারণ ৭৫ -এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনরাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। এই শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে কিভাবে বাঁশ দেওয়া যায় তার চূড়ান্ত আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, ‘নিজের একটা বোন, ছেলে-মেয়েকে তো আগেই রাখছেন বাহিরে; কারণ এই দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিল না। এজন্য শেখ হাসিনা তার ছেলে ও মেয়েকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আনেন নাই। ছোট বোন রেহেনাকেও বাংলাদেশের রাজনীতি করতে দেননি। কারণটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন বন্ধুত্বের প্রতিদান পাবেন। কোনো ভুক্ত করার চেষ্টা করবেন, আমরা সে হাত ভেঙে দিতে মুহুর্তকাল বিলম্ব করব না। আমাদেরকে কেউ দুর্বল ভাববেন না।’
পুনরায় আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আসতে ২টি শর্ত দিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে সব লোক খারাপ এটা আমি বলছি না, ভালো কিছু লোক থাকলেও থাকতে পারে। যদি আগামী দিনে রাজনীতি করতে চান, তাহলে দুটি শর্ত। প্রথম শর্ত হলো- একটা গণ তওবা করবেন, যেখানে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি করা থেকে আপনারা তওবা করবেন।
দ্বিতীয় শর্ত হলো- এই আওয়ামী লীগের নামটা আর নিয়েন না। আওয়ামী লীগের নাম পাল্টে নতুন নামে, ভিন্ন আঙ্গিকে আপনারা রাজনীতিতে আসেন, স্বাগত জানাব।’
বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।