প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণা চালান, তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাঁচ বছরের প্রতিটা দিনই নির্বাচনি কার্যক্রম চালান বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করি ৫ বছর পর এক মাস। শেখ হাসিনা নির্বাচন করেন পাঁচ বছরের প্রতিটা দিন।’
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’য় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানদের নিয়ে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হয়তো ৫ বছর পর নির্বাচন... তিনি হয়তো বাংলাদেশের কোনও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তখনই হয়তো একটা-দুইটা নাম লিখে রেখেছেন। যখন জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে অথবা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থিতা দেওয়া হচ্ছে তখনই ওই ডায়েরি থেকে খুঁজে খুঁজে নাম বের করে প্রার্থিতা ঠিক করে নেন, এই হচ্ছেন শেখ হাসিনা।’
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের চিত্র বদলে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশের যে ছবি, সেই রূপান্তরের রূপকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। সৃষ্টিকর্তা দুজন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। একজন আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এবং স্বাধীনতা দিয়ে তিনি যে লিগ্যাসি, যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন; তিনি (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) আজ নেই কিন্তু সেই লিগেসি সবসময়ের জন্য রয়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তা আরেকজন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন.... একজনকে স্বাধীনতার জন্য, তিনি বঙ্গবন্ধু। আরেকজনকে মুক্তির জন্য, তিনি শেখ হাসিনা।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির উত্তরাধিকার। তিনি আমাদের প্রগতির রাস্তা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গত ৪৮ বছরে তার (শেখ হাসিনা) মতো জনপ্রিয় নেতা আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। গত ৪৮ সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।’