‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ এই স্লোগান সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনি ইশতেহারে এ ঘোষণা দেন।
চুন্নু বলেন, দেশে বিদ্যমান আট বিভাগকে আটটি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। প্রদেশগুলোর নাম হবে উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, বরেন্দ্র প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।
দুই স্তরবিশিষ্ট সরকার কাঠামো করা হবে জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হবে ফেডারেল সরকার। এই সরকারের অধীনে থাকবে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ। আর প্রাদেশিক সরকারের অধীনে থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের এক একটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা একটা আমূল সংস্কারের বিষয় উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে এটা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রাথমিক ধারণার একটি রূপরেখা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা শহর থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সদর দফতর প্রাদেশিক রাজধানীতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে জাপার।
এছাড়া ঘোষণা করা ২৪ দফা ইশতেহারে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সুশাসন নিশ্চিত, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা, ইসলামি আদর্শ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখা, সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণ সাধন, স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ, শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন, নারী সমাজের কল্যাণ সাধন, জলবায়ু পরিববর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিসহ নানা বিশেষ তুলে ধরা হয়েছে।