জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়। কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৮ জুলাই সকল মহানগরীতে, ৩০ জুলাই সকল জেলা সদরে মিছিল এবং ১ অগাস্ট ঢাকা মহানগরীতে সমাবেশ। সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার নেতা-কর্মী-আলেম-উলামাদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি।
মজিবুর রহমান বলেন, “মাত্র ৫ মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করায় কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। সরকার জনগণের দাবি বাস্তবায়নের পরিবর্তে ২০১৪ ও ২০১৮ স্টাইলে আবারো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে, সে লক্ষ্যে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাচ্ছে।
“জামায়াতে ইসলামীকে সভা-সমাবেশ ও মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের নিকট বার বার লিখিতভাবে আবেদন জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন সভা-সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার পরিবর্তে সিলেট ও চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে যাচ্ছে। জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রেখেছে।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর দলটি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সমাবেশ করতে দিচ্ছিল না পুলিশ। এক দশক পর গত ১০ জুন জামায়াত ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের অনুমতি দিয়ে প্রকাশ্যে সমাবেশ করে।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর ওই সমাবেশ করা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের কাছে থেকে মন্তব্যও আসে। তবে জামায়াত নেতারা তা অস্বীকার করে আসছেন।