গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকলেও চালানোর সামর্থ্য নাই। কয়লা কেনার পয়সা নাই, কিন্তু বসিয়ে রেখে অনেককে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে রাগ-ক্ষোভ-অভিমানের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তারা আরেকটা তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন বুঝতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি জারি করেছে। সরকারের থলের বিড়াল এরই মধ্যে বেরিয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করছেন। এ ধরনের দায়িত্বহীন ও গণবিরোধী সরকার জনগণ আর মেনে নেবে না। ’
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে দিনাজপুরে রোডমার্চে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা দাবি মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য আমরা রোডমার্চ করছি। সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর-এসব বিষয়ে মানুষ যে ঐক্যবদ্ধ, সেটা সরকার বুঝতে পারছে। তাই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ভয় পেয়ে তারা নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন। আমরা সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপানে সমাবেশ করার অনুমতি চাইলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ’
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক রোডমার্চের কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করছি। কিন্তু এ সরকার গণতন্ত্র মঞ্চকে ভয় পেয়েছে। টাঙ্গাইলে আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আজ সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপানে সমাবেশ করার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন করতে দেয়নি। তাই শহরের বাইরে হাটিকুমরুলে এসে করতে হচ্ছে। ’
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ শহিদুল ইসলাম বাবুল, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বক্তব্য দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায় সমাবেশ করার উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তির সোপানের সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে কুটুমবাড়ি কটেজে এক সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বিশেষজ্ঞদের কথা মতো চলেনি। লুটপাটের জন্য ভিন্ন পথে হেঁটেছে। তার ফলেই আজ দেশে বিদ্যুৎ সংকট। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকলেও চালানোর সামর্থ্য নাই। এখন কয়লা কেনার পয়সা নাই, কিন্তু বসিয়ে রেখে অনেককে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ সংকটের সব দায় সরকারের, সরকারের বিদ্যুৎ নীতির ও তাদের লুটপাটের। ’