বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ আটক করেছে বলে দলের একজন নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতাকে তাঁদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির বলেন, ‘ডিবি পুলিশ সদস্যরা রাত তিনটার দিকে উত্তরার বাসায় এসে বলেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাঁরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করছেন।’
কাছাকাছি সময় ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে আটক করে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে এত রাতে পুলিশের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নয়টি বিভাগীয় সমাবেশ শেষে আগামীকাল শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার বিষয়ে অনড় অবস্থান জানান বিএনপির নেতারা।
এই সমাবেশ কোথায় হবে, তা নিয়ে বিতর্ক-আলোচনার মধ্যে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিকেল ৪টার দিকে তল্লাশি শেষ হওয়ার পর ওই কার্যালয়ের সামনের সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে সে সময় ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে সন্ধ্যার পর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। দুই ঘণ্টার বেশি সময়ের বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা (বুলু) সাংবাদিকদের বলেন, গণসমাবেশের জন্য কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।