× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সারাদেশে পুনঃখনন হচ্ছে ৫১২টি খাল : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:২৫ এএম । আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫৬ এএম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ডেলটা প্ল্যানের আওতায় সারাদেশে ৫১২টি খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। শুক্রবার কর্ণফুলী উপজেলায় লেংগ্যা-শিকলবাহা চৌমুহনী নয়াহাট খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি ডিসেম্ববের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু হবে, যেখানে তালিকায় রয়েছে ৪ হাজার ২৬টি খাল। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে তিন-চার বছর সময় লাগবে। সব কাজ শেষ হলে বর্ষায় উজান থেকে আসা পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে।  


শিকলবাহা খাল ছিল না, পুরোটাই ভরাট এবং অবৈধ স্থাপনা ছিল। স্যুয়ারেজ লাইন গেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাড় দখল করে বানানো হয়েছে গরুর ঘর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। ‘খাল খনন ও ড্রেজিং করা হয়েছে। অনেকবার স্থানীয়দের সাবধান ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে দখলদারদের জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও দূষণ থেমে নেই। খননকাজ শেষ হলে এই খালের পানি লোকজন ব্যবহার করতে পারবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে’।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম। করোনার জন্য উচ্ছেদের কাজটা স্থগিত রেখেছি। এই জন্য রেখেছি যে, করোনাকালে লোকজনের আয় ও উপার্জন সব থেমে গিয়েছিল। শুধু কর্ণফুলী নয়, সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজটা সাময়িক স্থগিত করে রেখেছি। করোনার প্রভাব কমে আসলে উচ্ছেদ   কার্যক্রম শুরু করবো।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন উল্লেখ করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে চলে এসেছি। ২০৩০ সালে মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে ও ৪১ সালে সমৃদ্ধশালী দেশে পৌঁছে যাব। সমৃদ্ধশালী দেশে পৌঁছাতে গেলে ছোটখাট কাজগুলো করতে হবে, সেখানে কোন ধরনের বাধা মানা হবে না। জনগণকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, কারণ দেশটা সকলের। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চাই, তাহলে সকলকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, গত বছর একাধিকবার বন্যা হওয়ার পরও সেভাবে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়নি। বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি, বাঁধের পানি উপচে পড়েছে। যেখানে গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও বাঁধের ক্ষতি হয়নি। আমরা যদি ৬৪ জেলায় ছোট নদী ও খাল খননকাজ শেষ করতে পারি, বর্ষায় এসব নদী ও খালে পানি ধারণক্ষমতা বাড়বে। তখন গ্রাম প্লাবিত হবে না, ক্ষতির পরিমাণ কমে সহনীয় অবস্থায় আসবে। প্রকল্প জনগণের কল্যাণের জন্য, সেখানে জনগণের সহযোগিতা লাগবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে না। একজন লোকের জন্য পাঁচ হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।  

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তন্ময় কুমার ত্রিপুরা বলেন, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা ও জুলধা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবহমান প্রায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লেংগ্যা-শিকলবাহা-চৌমুহনী নয়াহাট খালটি কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে ফিসারী ঘাটের নয়াহাট জামে মসজিদের কাছ থেকে উৎপত্তি হয়ে ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলাকায় পুনরায় কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পুনঃখনন না হওয়ায় খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে বর্ষা মৌসুমে নিকটবর্তী এলাকাসমূহে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো।  

প্রতিমন্ত্রীর খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তন্ময় কুমার ত্রিপুরা, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো.ফারুক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ-১ এর কর্মকর্তা সিজেন চাকমা, মো. মানজুর এলাহী প্রমুখ।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.