সূর্যমুখী তেল : রাশিয়া ও ইউক্রেনে বিশ্বের ৫৫ শতাংশ সূর্যমুখী তেল উৎপাদিত হয়। আর মোট রপ্তানির ৭৬ শতাংশ করে এই দুটি দেশ। চীন, ভারত ও ইউরোপ এই তেলের প্রধান আমদানিকারক। ভারতের আমদানি করা সূর্যমুখী তেলের ৯০ শতাংশ আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে।
পাম তেল : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত, ব্যবহৃত ও বিকিকিনি হওয়া তেল এটি। পাম, সয়াবিন, রাইসরিষা ও সূর্যমুখী- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এই চার ভোজ্য তেলের মোট সরবরাহের ৪০ শতাংশই হচ্ছে পাম তেল। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ ইউএসডিএর হিসেবে এ বছর সাত কোটি ৭০ লাখ টন পাম তেল উৎপাদিত হওয়ার কথা।
পামের রাজা ইন্দোনেশিয়া : বিশ্বে পাম তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া। এই তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক ও ব্যবহারকারীও তারা। বিশ্বের মোট পাম তেলের ৬০ শতাংশ সরবরাহ আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। এরপরে আছে মালয়েশিয়া (২৫ শতাংশ)।
পামের ক্রেতা ভারত : ভারতে মোট ভেজিটেবল তেল ব্যবহারের ৪০ শতাংশ হচ্ছে পাম তেল। দেশটি বিশ্বে এই তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। এছাড়া চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর ও কেনিয়াও এই তেলের বড় ক্রেতা।
সয়াবিন তেল : ভোজ্য তেল উৎপাদিত হওয়ার তালিকায় পামের পরেই আছে সয়াবিন তেল। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের হিসেবে এ বছর পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টন সয়াবিন তেল উৎপাদিত হওয়ার কথা।
সয়াবিন বিক্রেতা আর্জেন্টিনা : সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করে চীন (এক কোটি ৬০ লাখ টন)। তারপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র (এক কোটি ২০ লাখ টন), ব্রাজিল (৯০ লাখ টন) ও আর্জেন্টিনা (৮০ লাখ টন)। তবে এই তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক আর্জেন্টিনা। তারপর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র। আর পামের মতো ভারতও সয়াবিন তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
রাইসরিষা : মূলত ইউরোপ, ক্যানাডা ও চীনে এই তেল উৎপাদন হয়। এ বছর দুই কোটি ৯০ লাখ টন তেল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এই তেল সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ভোজ্য তেল হচ্ছে পাম তেল। এরপরেই আছে সয়াবিন, রাইসরিষা ও সূর্যমুখী তেল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh