‘শাহাজাহান ভূঁইয়া রাজু প্রতি বছর অনুষ্ঠানের আড়ালে কথিত মডেল শিল্পীদের দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান ও নারী এবং মাদক ব্যবসা করে দেশের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের নামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজনেজ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন মেলার নামে প্রতারণা করে আসছেন।’- এসব বন্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন প্রতারণার শিকার এক নারী।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়, শাহজাহান ভূঁইয়া রাজু মেয়েদের মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। তাদের অবৈধ অস্ত্র, স্বর্ণ ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে। এদের ভোগের পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করে। এ কারণে মিডিয়া জগতের অনেকের কাছে শাহাজাহান ভূঁইয়ার এসমস্ত অপকর্ম এখন ওপেন সিক্রেট। রাজুর আপাদমস্তক জালিয়াতি ও প্রতারণার কারণে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়েছে। যা অনুসন্ধান করলে আরো ভয়ংকর তথ্য পাওয়া যাবে। তার জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ ধানমন্ডি থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ও প্রশাসনে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি; রাজু কিছুদিন আগে ওয়েস্টার্ন হোটেলে মিরর ফ্যাশন ও বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান করেছে। এখন আবার হোটেল শেরাটনে ভারতীয় শিল্পী এনে দেশি-বিদেশিদের নিয়ে বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ও ফ্যাশন শো করবে মিরর ফ্যাশন বিজনেস ম্যাগাজিনের ব্যানারে। অথচ যার পত্রিকার ডিকলারেশন নাই। প্রতিষ্ঠানের সঠিক অস্তিত্ব নাই। বরং মিথ্যা ও জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার এসমস্ত অপকর্মের জন্য কিছু অসৎ ও কালো টাকার মানুষকে ব্যবহার করেছে। রাজু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনবরত লঙ্ঘন করছে। এ ছাড়া ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জালিয়াতি ও গুরুতর অপরাধমূলক ব্যবসা করে যাচ্ছে।
রাজুর মিরর পত্রিকাসহ কোনো পত্রিকা চালানোর সরকারের অনুমতি নেই। তারপরেও সে কীভাবে পত্রিকা চালায় এবং প্রতিষ্ঠানের নামে অনুষ্ঠান করে!
রাজু সাপ্তাহিক ফিন্যান্সিয়াল মিরর পত্রিকার কো-পাবলিশার্স ছিল। সেটা ঢাকা ডিসি অফিসে গিয়ে সে এবং অপর কো-পাবলিশার্স ও সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম পত্রিকাটি সারেন্ডার করেছে। যথারীতি সাংবাদিক মশি শ্রাবনের নিকট বিক্রিসহ হস্তান্তর সম্পাদন করে বরং মিথ্যা ও বানোয়াটি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বানিয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া পত্রিকা প্রকাশ ও এর ব্যানারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে।
রাজুর নিজস্ব কোনো বৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নেই। যেগুলো সে উপস্থাপন করে সেগুলো সবই কপিরাইট করা দুই নম্বর করে সাজানো, অনুসন্ধানে সত্যতা মিলবে।
ঢাকার ডিসি এবং ডিএফপিসহ তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও অনুমতি ছাড়া পত্রিকা প্রকাশসহ নানা ধরনের অন্যায় অনিয়মের কারণে সে ডিসি অফিস ও ডিএফপিতে কালো তালিকাভুক্ত রয়েছে।
রাজু মিডিয়া ব্যবসার আড়ালে সরকারবিরোধী বিভিন্ন অপকর্ম ও অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত থেকে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে। তার স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী জেলায় হলেও তথ্য গোপন রেখে ঢাকার বাসিন্দা সেজেছে।
সে মিডিয়া ব্যবসার আড়ালে নারী, স্বর্ণ, মাদক ব্যবসা ও পাচারের সাথে জড়িত থেকে ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, নিকেতন, উত্তরা, মুহাম্মদপুর ও লাল মাটিয়াতে একেকটি অফিস/বাসা/বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদক ও নারী ব্যবসা করছে।
রাজুর বর্ণিত অপরাধের কারণে আইসিটি অ্যাক্ট চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। এর জন্যে তার বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের অধীনে আরো মামলা হতে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে শাহাজাহান ভূঁইয়া ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন’ বলে ফোন কেটে দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh