অনুকূল আবহাওয়া ও সুষ্ঠু পরিচর্যায় চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহে গমের ভালো হয়েছে। গমের বাম্পার ফলনের সাথে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গম কাটা ও মাড়াই এর কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ দিকেও যারা মাঠে গম বীজ বপন করেছেন এসব চাষিদের গম গাছসহ গমের শীষ পেকে সোনালি রঙ ধারণ করেছে। সোনালি আভায় ঢেকে আছে মাঠ। কোথাও কোথাও মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে গম কাটার কাজ। গম কাটা, শিষ থেকে গম ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ গম এক হাজার চারশ’থেকে এক হাজার চারশ’৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি মণ গম এক হাজার পাঁচশ’ থেকে এক হাজার পাঁচশ’৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এবার গম বিক্রি করে একটু বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলা এক হাজার ৯৬৩ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জমিতে বেশী গমের আবাদ হয়েছে সদর উপজেলায়।
সদর উপজেলার গম চাষি মিজানুর জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার গমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষিরা।বর্তমানে বাজারে নূতন গম উঠতে শুরু করেছে। বাজারে প্রতি মণ গমের মূল্য ভাল হওয়ায় চাষিরা খুশী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক মো. মতিউজ্জামান জানান, এ বছর গম চাষিরা উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি ৩০, ৩২ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেছেন। উন্নত জাত ও অধিক ফলনশীল জাতের গম আবাদের ফলে ফলন বেশী পাচ্ছেন চাষিরা। তাছাড়া অনুকূল আবহাওয়া ও সুষ্ঠু পরিচর্যার ফলে ফলন বেশী হচ্ছে। সেইসাথে ভাল ফলন ও উপযুক্ত মূল্য পাওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। এতে করে আগামীতে জেলায় গমের আবাদ আরও বাড়বে।