গত ৫ নভেম্বর রাতে অন্যান্যদের মতো নাইট শিফটে (সময়: রাত ১০:৩০ থেকে সকাল ০৬:৩০ পর্যন্ত) দায়িত্ব পালন করছিলেন অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম।
উক্ত সদস্য লোভের বশবর্তী হয়ে রিপুর তাড়নায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি হতে অনৈতিকভাবে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করে ঘটনাস্থলেই ধরা পড়েন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশনাক্রমে সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে স্হায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দৃষ্টান্ত স্হাপন করে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও সমুলে উৎপাটন করতে আরো অধিক মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্হাপনা ইতিমধ্যে জোরদার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনাগুলোতে এত স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো মনস্তাত্ত্বিক প্রেষনার অন্যতম নিয়ামক বটে।
ইতিমধ্যে বাহিনী প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। যাতে সংবেদনশীল ঝুঁকিপুর্ন ডিউটির ক্ষেত্রে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের আরো বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে প্রেষনামুলক পদক্ষেপ অধিক কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অনিয়ম বা শৃঙ্খলাভঙ্গমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে যেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের সামগ্রিক ভাবমূর্তি কিংবা পুরো বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ না হয়—এ বিষয়ে বাহিনী সর্বদা কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আশা করা যায় দ্রুততর শাস্তিমুলক ব্যবস্হার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যানধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।