× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

একই দামে দুই পণ্য: স্বর্ণের যাকাত কেন, আইফোনের নয়?

ড. তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব, এবং দাউদ ইব্রাহিম হাসান

০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৩ পিএম । আপডেটঃ ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৪ পিএম

সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারও ইতিহাস ছুঁয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ঘোষণায় দেখা যায়, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ভরিপ্রতি ১,৯৪,৮৫৯ টাকা—যা মাত্র এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি।বাংলাদেশে স্বর্ণ ও আইফোনের দাম সমান হওয়া সত্ত্বেও কেন কেবল স্বর্ণের উপর যাকাত ফরজ, এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। এর মূল কারণ নিহিত রয়েছে ইসলামের অর্থনৈতিক দর্শনে। ইসলামে যাকাত একটি আর্থিক ইবাদত, যা সম্পদকে পূত-পবিত্র করে এবং সমাজের দরিদ্র মানুষের মাঝে অর্থ বণ্টনের এক কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। স্বর্ণকে যাকাতের জন্য যোগ্য মনে করা হয় কারণ এটি অর্থ (store of value) এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে আইফোন একটি ব্যবহার্য পণ্য (consumable item)।

ঢাকার কাজীপাড়া বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে রফিক সাহেব কণ্ঠ ভারী করে বললেন, “স্ত্রীর জন্য এক ভরি স্বর্ণ কিনলাম, কিন্তু মনে হলো যেন পুরো সংসারের এক বছরের সঞ্চয় ঢেলে দিলাম।” ঠিক একই সময়ে, তার কলেজপড়ুয়া ছেলে সজীব প্রায় একই দামে একটি নতুন আইফোন কিনে আনন্দে আত্মহারা। দাম সমান হলেও ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিতে এদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। স্বর্ণ হলো সঞ্চিত সম্পদ ও বিনিময়ের মাধ্যম, যা সময়ের সাথে স্থায়ী মূল্য ধরে রাখে এবং যাকাতযোগ্য সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত। অন্যদিকে, আইফোন একটি ভোগ্যপণ্য, যার মূল্য বছর যেতে না যেতেই অর্ধেক নেমে আসে। তাই প্রশ্ন উঠলেও—“স্বর্ণ ও আইফোনের দাম সমান, তবে কেন কেবল স্বর্ণের উপর যাকাত ফরজ?”—উত্তর স্পষ্ট: ইসলামে যাকাত সম্পদকে পবিত্র করার এবং সমাজে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ন্যায্যভাবে বণ্টন নিশ্চিত করার আর্থসামাজিক প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশের এক মধ্যবিত্ত পরিবার, রফিক সাহেব আর তার স্ত্রী ফাতেমা, তাদের দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একটা ছোট্ট সংসারে সুখ-দুঃখের গল্প বুনে চলেছেন। রফিক সাহেব তার চাকরির জমানো টাকা দিয়ে সম্প্রতি এক ভরি স্বর্ণ কিনেছেন ফাতেমার জন্য। এক ভরি স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি। ঠিক একই সময়ে, তাদের বড় ছেলে সজীব তার কোচিংয়ের টাকা জমিয়ে একটি আইফোন কিনেছে, যার দামও প্রায় এক লাখ টাকা। এই দৃশ্যটি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেই যেন এক পরিচিত প্রতিচ্ছবি। একদিকে যেমন স্বর্ণ আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক, তেমনি আইফোন আমাদের আধুনিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সজীবের কেনা আইফোনটি দেখে রফিক সাহেব একটু কৌতুক করে বলেন, "বাবা, তোর এই এক লাখ টাকার আইফোনের চেয়ে আমার এই এক লাখ টাকার স্বর্ণটাই বেশি দামি। জানিস, বছর শেষে এর উপর যাকাত দিতে হয়।" সজীব একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "বাবা, আইফোনের দামও তো এক লাখ টাকা, তাহলে এর উপর যাকাত দিতে হয় না কেন?" রফিক সাহেব এর উত্তর দিতে গিয়ে থমকে যান। সত্যিই তো, দাম তো সমান, তাহলে কেন এই বৈষম্য? এই প্রশ্নটি কেবল সজীবের নয়, আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষের মনেই এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায়। তাহলে, এই প্রশ্নের গভীরতা এবং বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি কোথায়?

এই প্রশ্নটি কেবল একটি ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা নয়, বরং এটি আমাদের জাতীয় অর্থনীতির একটি গভীর প্রতিফলন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, স্বর্ণকে এখনো একটি নিরাপদ বিনিয়োগ (safe investment) মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। এটি শুধু অলংকার নয়, বরং এটি দুর্দিনে পরিবারের আর্থিক ভরসা। অন্যদিকে, আইফোন বা এ জাতীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে ধরা হয় একটি দ্রুত অবচয়শীল সম্পদ (rapidly depreciating asset) হিসেবে। এর মূল্য দ্রুত কমতে থাকে এবং এটি সাধারণত বিনোদন, যোগাযোগ বা কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ব্যবহারের সাথে সাথে এর কার্যকারিতা বা উপযোগিতা হ্রাস পায়।

ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী, যাকাত ফরজ হওয়ার পেছনে কয়েকটি মৌলিক শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সম্পদটি 'মালে নামি' বা বর্ধনশীল প্রকৃতির হতে হবে এবং এটি মালিকের কাছে এক বছর ধরে জমা থাকতে হবে। স্বর্ণ এই শর্ত পূরণ করে, কিন্তু আইফোন করে না।পাঁচ বছর আগে, এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তখন একটি আইফোনের দামও হয়তো ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে এই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। উভয় পণ্যের দাম প্রায় সমান, যা এক লাখ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে এত দ্রুত পরিবর্তন হয়নি যে এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগবে। এটি মূলত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং পণ্যের মূল্যস্ফীতির প্রতিফলন।

তাহলে, কেন আইফোনের উপর যাকাত দিতে হয় না? ইসলামী বিধান অনুযায়ী, যাকাত প্রযোজ্য হয় সঞ্চয়ী সম্পদ বা বিনিয়োগের উপর, যা সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাময়। স্বর্ণ একটি সঞ্চয়ী সম্পদ। একজন ব্যক্তি যখন এক ভরি স্বর্ণ কিনে রাখেন, সেটি তার সম্পদ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর মূল্য বাড়তে পারে বা স্থির থাকতে পারে। যদি এক বছর পর সেই স্বর্ণের মূল্য আরও বেড়ে যায়, তবে তার সম্পদ বৃদ্ধি পেল।ধরা যাক, একজন ব্যক্তির কাছে এক লাখ টাকার স্বর্ণ এক বছর ধরে জমা আছে। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী, তার যাকাতের পরিমাণ হবে ২.৫%।গণনাটি হবে: ১,০০,০০০ টাকা × ২.৫% = ২,৫০০ টাকা।এই ২,৫০০ টাকা যাকাত হিসেবে দিতে হবে।

অপরদিকে, আইফোন একটি ব্যবহার্য পণ্য, যা কেনা হয় ব্যবহারের জন্য, সঞ্চয়ের জন্য নয়। একটি আইফোন কেনার পর এর মূল্য দ্রুত কমতে থাকে। এক বছর পর সেই আইফোনের মূল্য হয়তো ৬০-৭০ হাজার টাকায় নেমে আসবে। এটি কোনোক্রমেই 'মালে নামি' বা বর্ধনশীল সম্পদ নয়। বরং এটি ব্যবহারের ফলে এর মূল্য হ্রাস পায়। তাই, শরিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে এর উপর যাকাত ফরজ নয়।

যদি ভবিষ্যতে নতুন কোনো পণ্য আসে যা স্বর্ণের মতো সঞ্চয়ী এবং বর্ধনশীল প্রকৃতির হয়, যেমন ধরুন বিটকয়েন বা অন্য কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি, তাহলে কি সেগুলোর উপর যাকাত দিতে হবে? অবশ্যই। ইসলামিক স্কলারদের মতে, যেকোনো সম্পদ যা সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে রাখা হয় এবং যার মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে, তার উপর যাকাত প্রযোজ্য হবে।

বর্তমানে, অনেক ইসলামিক স্কলার বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর যাকাত ফরজ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন, যদি তা নির্দিষ্ট পরিমাণ (নিসাব) এবং এক বছর ধরে মালিকের কাছে জমা থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতে স্বর্ণের পাশাপাশি শেয়ার বাজার, বন্ড বা নতুন ধরনের ডিজিটাল অ্যাসেটের উপরও যাকাতের বিধান আসতে পারে, যদি সরকার বা ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়।


এই ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা জ্ঞানের অভাব শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে, গভীর ছাপ ফেলছে। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা, যারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোলে আসক্ত, তারা প্রায়শই এই ধরনের ব্যবহারিক পণ্যকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করে এবং সেগুলোর উপর যাকাতের বিধান না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়।

শিক্ষার্থী সমাজ আজ এই প্রযুক্তির প্রতি যে আসক্তি দেখাচ্ছে, তার পেছনে এই ধরনের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় বিধানের সঠিক জ্ঞানের অভাবও এক কারণ। তারা হয়তো জানেই না যে, যাকাত কেবল সম্পদকে পবিত্র করে না, বরং এটি একটি সামাজিক সুরক্ষা জাল হিসেবেও কাজ করে। সমাজের দরিদ্রদের সাহায্য করে। যদি এই বিষয়টি সঠিকভাবে না বোঝানো যায়, তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের দিক থেকে এক গভীর সংকটে পড়বে। বর্তমানে শিশুরাও এই ডিজিটাল পণ্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা তাদের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে, সমাজে বৈষম্য আরও বাড়তে পারে, কারণ যারা যাকাত দিচ্ছে না, তাদের সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, আর যারা দিচ্ছে, তাদের উপর যাকাত নামক একটি বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি হচ্ছে ।

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ, যাদের উপর এই সমাজের সংস্কারের দায়িত্ব, তাদের এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে জ্ঞান অর্জনই যথেষ্ট নয়, বরং এই জ্ঞানকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকরা পর্যন্ত এই বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারেন। একইসাথে, ইসলামিক স্কলারদের উচিত, আধুনিক পণ্যের উপর যাকাতের বিধান নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট ও সহজবোধ্য নির্দেশনা তৈরি করা।

সাধারণ জনতাকে এই বিষয়ে শিক্ষিত করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম, যেমন টেলিভিশন, রেডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়ে কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রকাশনার ব্যবস্থা করতে পারে। আমরা যদি এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় দায়িত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাবে। তাই, আমাদের সবাইকে এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের সমাজে স্বর্ণ এবং আইফোনের মূল্য সমান হওয়া সত্ত্বেও যাকাতের বিধানের ভিন্নতা একটি গভীর অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যাকাত শুধুমাত্র একটি আর্থিক বিধান নয়, এটি একটি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দর্শন যা সম্পদকে শুদ্ধ করে এবং সমাজের দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করে।এই সমস্যার সমাধান কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হব, ধর্মীয় বিধানের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যকে উপলব্ধি করব এবং সঠিক তথ্যকে সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেব। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা এক সুষম, ন্যায়ভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করতে পারব।

অজ্ঞতা, ভুল ধারণা, আর নিষ্ক্রিয়তার শৃঙ্খল ভাঙি,

জ্ঞান আর সত্যের মশালে, এক নতুন সমাজ গড়ি।

যাকাতের পবিত্র ছোঁয়ায়, বৈষম্যের দেয়াল ধূলি,

নতুন এক প্রভাতের খোঁজে, সকলে একসাথে চলি।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :

ডঃ তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইমপ্যাক্ট গ্রুপে গ্লোবাল কনসালট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।

দাউদ ইব্রাহিম হাসান: বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত থাকার পাশাপাশি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত হওয়ার পাশাপাশি আইডিএলসি ফাইনান্স পিএলসি-তে মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত  আছেন।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.